এই একটা ম্যাচ জিতলে পারলেই সুপার এইটের পর্ব শেষ করতে পারতো অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে সঙ্গী করে তারা চলে যেতে পারত সেমিফাইনালের বড় মঞ্চে। কিন্তু তাদেরকে ২১ রানে হারিয়ে গ্রুপের লড়াই জমিয়ে তুলেছে আফগানিস্তান। এমন এক ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়া তো বটেই ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া ভারতও আছে সুপার এইট থেকে বিদায়ের শঙ্কায়। 

এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকেই ধারাবাহিক ছন্দে আছে আফগানিস্তান। মাঝে  ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ভারতের বিপক্ষে হারলেও তাতে রশিদ খানদের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের বোলিং লাইনআপ আরও একবার প্রমাণ করেছেন নিজেদের সক্ষমতা। শক্তিশালী দলটিকে ১২৭ রানে আটকে দিয়ে তুলে নিয়েছে ২১ রানের ঐতিহাসিক এক জয়। 

সুপার এইটের এই গ্রুপে বর্তমানে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে ভারত। ২ পয়েন্ট করে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান। রানরেটে অবশ্য অনেকটাই পিছিয়ে আফগানরা। সেদিক থেকে অস্ট্রেলিয়া আছে এগিয়ে। চারে আছে বাংলাদেশ। যাদের ঝুলিতে কোনো পয়েন্ট নেই। 

সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশের করণীয়

তবে এই ০ পয়েন্ট থেকেও সেমিফাইনালে যেতে পারে বাংলাদেশ। সেজন্য মেলাতে হবে ছোট দুই সমীকরণ।   আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা জিততেই হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। তবে সেটাও হতে হবে বড় ব্যবধানে। রশিদ খানদের হারানোর পাশাপাশি অন্য ম্যাচে ভারতের জয় কামনা করতে হবে। 

এরপরেই অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট সমান হবে। তখন হিসাব হবে নেট রানরেটের। নেট রানরেটে নাজমুল হোসেন শান্তরা এগিয়ে থাকলে পাওয়া যাবে সেমির টিকিট। 

ভারত হেরে গেলে কী হবে? 

ভারত যদি নিজেদের ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে বাংলাদেশের জয় পেয়েও লাভ হবে না। তখন অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত দুই দলেরই পয়েন্ট হবে চার। অন্যদিকে দুইটি করে পয়েন্ট থাকবে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের। সেক্ষেত্রে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াই সেমিতে যাবে। 

আর ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশও হারলে আবার সামনে আসবে রানরেটের হিসেব। তখন ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের পয়েন্ট হবে সমান। এবারেও রানরেটে এগিয়ে থাকা দুই দল যাবে সেমিতে। 

জেএ