যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় হয়ে গেছে পাকিস্তানের। এরপর থেকে সমালোচনায় মুখর দেশটির সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্ত–সমর্থকরাও। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফিক্সিংয়ের অভিযোগও তুলেছে বাবর আজমদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পিসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। একইসঙ্গে তিনি ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় প্রমাণ দিতে বলেছেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান বলছে, কিছু ইউটিউবার ও সাংবাদিক নানা অভিযোগ তুলছেন বাবরদের বিরুদ্ধে। যা আবারও ফলাও করে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে পাকিস্তানের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এ ধরনের নেতিবাচক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিশেষ করে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ক্রিকেটার, কোচ থেকে শুরু করে প্রতিযোগী দলগুলোর প্রতিটি সদস্যের ওপর নজরদারি চালায় আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট। বলে রাখা ভালো, পাকিস্তানের ক্রিকেটে এর আগেও ফিক্সিংয়ের মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার নজির রয়েছে। তবে বর্তমান দলে থাকা অধিনায়ক বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ান কিংবা শাদাব খানদের মতো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কোনো বিতর্কিত কাজে জড়ানোর রেকর্ড নেই। 

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এবার মুখ খুললেন পিসিবির উর্ধ্বতনরা। সেই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করেই বোর্ড সূত্রে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ‘আমরা সব ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানি। সীমার মধ্যে থেকে কেউ সমালোচনা করলে সেটি গ্রহণযোগ্য এবং তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যখন ভিত্তিহীন তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়, সেটি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।’

তিনি আরও বলছেন, ‘যখন ক্রিকেটারদের ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই, তখন কেন অনুসন্ধানের মতো বিষয় আসছে? যিনি অভিযোগ তুলেছেন, তার উচিৎ প্রমাণ হাজির করা। আমরা আমাদের আইনি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে যেন তারা নোটিশ জারি করে এবং প্রমাণ চাওয়া হয়। যদি কোনো প্রমাণ না পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। ছয় মাসের মধ্যে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিতের নিশ্চয়তা রয়েছে পাঞ্জাবের আইনে।’

 উল্লেখ্য, প্রথম দুই ম্যাচে হেরে পাকিস্তানের সুপার এইটে খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। শেষ দুই ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ও কানাডাকে হারানোয় ৪ পয়েন্ট পান বাবররা। তবে যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে স্বাগতিকরা সুপার এইট নিশ্চিত করে এবং বিদায় হয় পাকিস্তানের। এরই মাঝে বেশিরভাগ ক্রিকেটার দেশে ফিরে গেছেন, তবে বাবরসহ কয়েকজন ক্রিকেটার এখনও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তারই এক ফাঁকে এক দর্শকের সঙ্গে প্রকাশ্যে বাদানুবাদের ঘটনা ঘটেছে পাক পেসার হারিস রউফের। যা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি।

এএইচএস