চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ছন্দে নেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা। অবশ্য এমন অধারাবাহিক পারফরম্যান্স চলছে আরও আগে থেকে। টপ অর্ডারদের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিশ্বকাপ শুরু, এরপর মিডল অর্ডাররা প্রথম ম্যাচগুলো সামলেছেন। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান মেলেনি। আজও (শুক্রবার) সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একই নিয়তি। ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার কোনো উত্তর জানা নেই টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র।

রানের খাতা খোলার আগেই আজ উইকেট হারিয়ে বসেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর উইকেট ধরে রেখে খেলার চেষ্টা চালায় শান্ত-লিটন জুটি। ৫৮ রানের জুটি গড়লেও, রানের গতি টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ লিটন দাস ২৫ বলে ৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১৬ রান করেন। থিতু হয়েও এমন ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও উইকেট হারান দ্রুত।

শুরুতে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন শান্ত, ‘শুরুর দিকে একটু দেখে খেলারই পরিকল্পনা ছিল। আগের ম্যাচগুলোতেও ওরকম ভালো শুরু পাচ্ছিলাম না। ৬ ওভার কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি। আরেকটু ভালো হতে পারত, তবে আমরা খুশি ছিলাম। আমি যখন আউট হয়েছি, আউট না হয়ে যদি ১৭-১৮ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারত।’

শুরুর দিকে ধীর উইকেটের কারণে রান করতে ভুগেছেন লিটন। শান্ত অবশ্য সতীর্থের খেলায় সমর্থন দিয়ে বলেন, ‘সাথে এটাও বলব শুরুর দিকে উইকেট স্লো ছিল। খুব যে বল ব্যাটে আসছিল তা না। তবে সেট ব্যাটার থাকা খুব জরুরি ছিল।’

দলের বেশিরভাগ ব্যাটারই বিশ্বকাপে ব্যর্থ হচ্ছেন, এর কারণ জানেন না শান্ত, ‘কেন পারছি না এটা তো বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয় সবার সামর্থ্য আছে। সবাই অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় করে দেখিয়েছে। এবার কেন হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে যার যার স্বাভাবিক খেলা খেলার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কোনো কারণে হচ্ছে না। সবাই ম্যাচে গিয়ে যার যার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছে, তবে এভাবে খেললে অবশ্যই বোলারদের জন্য কঠিন।’

এসএইচ/এএইচএস