চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছেন বোলাররা। তবে হ্যাটট্রিকের বেশ কয়েকটি সুযোগ এলেও, কেউ কাজে লাগাতে পারেননি। সেই তুলনায় সুপার এইটে তুলনামূলক সুবিধা পাচ্ছেন ব্যাটাররা। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশের ব্যাটাররা, তাদের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের আসরে প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স।

এ নিয়ে দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন। আগের হ্যাটট্রিক ছিল ব্রেট লির। কাকতালীয়ভাবে সেই কীর্তিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। সবমিলিয়ে আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সপ্তম হ্যাটট্রিক পেয়ে গেল। দুই অস্ট্রেলিয়ান ছাড়া এই সংস্করণের বিশ্ব আসরে হ্যাটট্রিক করা বাকি পাঁচজন হলেন– আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, আরব আমিরাতের কার্তিক মেয়াপ্পান ও আরেক আইরিশ জশ লিটল।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটিতে প্রথম স্পেলে উইকেটশূন্য ছিলেন কামিন্স। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে তিনি আক্রমণে আসেন ১৮–২০ ওভারের মধ্যে। তবে অজি পেসার অবশ্য এক ওভারেই হ্যাটট্রিক পাননি। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে এসে প্রথম বলেই ফেরালেন তাওহীদ হৃদয়কে। স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েছেন তাওহীদ হৃদয়।

এর আগে কামিন্সের শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে পুল শটের চেষ্টায় ব্যাট চালিয়ে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটের নিচের দিকে লেগে সোজা তার স্টাম্প ভেঙে দেয় বলটি। এরপর ক্রিজে নেমেই আউট শেখ মেহেদীও। এই বিশ্বকাপে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়ে প্রথম বলেই কামিন্সকে আপার কাট করতে যান। কিন্তু ডিপ থার্ডে তিনি ধরা পড়েন অ্যাডাম জাম্পার হাতে।

শেষ পর্যন্ত কামিন্স ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া মাত্র ২৪ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন জাম্পা। ফলে বাংলাদেশকে মাত্র ১৪০ রানে আটকে রাখে অস্ট্রেলিয়া। সেই রানতাড়ায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের পথেই আছে মিচেল মার্শের দলটি।

এএইচএস