টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায়ের পর দেশে ফিরেছেন পাকিস্তানের কয়েকজন ক্রিকেটার। আজ (বুধবার) স্থানীয় সময় ভোরের দিকে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তারকা পেসার নাসিম শাহ, উসমান খানসহ আরও কয়েকজন। সঙ্গে ছিলেন ম্যানেজার ওয়াহাব রিয়াজও। 

জিও নিউজের খবর, ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশন শেষে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন অধিনায়ক বাবর আজম, ইমাদ ওয়াসিম, হারিস রউফ, শাদাব খান ও আজম খানরা। আগামী ২২ জুন তারা পাকিস্তানে ফিরতে পারেন বলে খবর। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইংল্যান্ডের ফ্লাইট ধরার কথা অবসর ভেঙে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ফেরা মোহাম্মদ আমিরের। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ খেলতে ডার্বিশায়ারে যোগ দেবেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বকাপের আগে সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের হেড কোচের দায়িত্ব পাওয়া গ্যারি কারস্টেন নিজ দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। 

আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও অবিশ্বাস্যভাবে হেরে যায় বাবর এণ্ড কোং। টানা দুই হারের পর জটিল সমীকরণের মারপ্যাঁচে পড়ে যায় ম্যান ইন গ্রিনরা। কানাডার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয়ে ঘুরে দাঁড়ালেও সুপার এইটে উঠার জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না।

ভরাডুবির বিশ্বকাপ শেষে পাকিস্তানে ফিরেছেন নাসিম শাহরা। ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তানের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই গ্রুপ ওয়ান থেকে ভারতের পর দ্বিতীয় ও সর্বশেষ দল হিসেবে কোয়ালিফাই করে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে জয় ছিল অনেকটা নিয়মরক্ষার। 

বিশ্বকাপ চলাকালেই গুঞ্জন উঠেছিল, টুর্নামেন্ট শেষে বাদ পড়তে পারেন ৬-৭ জন ক্রিকেটার। এ ছাড়া বাবর আজমের নেতৃত্ব নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখন কার্যত কি হয় সেটি সময়ই বলে দেবে। 

‘টি-টোয়েন্টি শাসন করা পাকিস্তান এখন তলানিতে’

গতবারের ফাইনালিস্ট পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর কার্যত নিয়মরক্ষার ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার খেলোয়াড়ি জীবনে সবচেয়ে তলানিতে এসে এবারই ঠেকল কি না পাকিস্তান? জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটিই তলানি। এর চেয়ে নিচে নামা যায় না। এটিই বাস্তবতা।’

পাকিস্তানের এমন ব্যর্থতার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে ইমাদ বলেছেন, ‘দেখুন আমার মতে, আমি ব্যক্তিগত মতটা বলছি। এটিকে শিরোনাম করবেন না। এটা মানসিকতার ব্যাপার। আপনি কোন মানসিকতা নিয়ে খেলতে চান? হয় আপনি আগুনের জবাব আগুন দিয়ে দেবেন অথবা নিজস্ব উপায়ে খেলবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি, আগুনের জবাব আগুনই হওয়া উচিত। আর যদি হারেনও আপনি নিজেকে বলতে পারবেন—ওই দিনে আমরা যথেষ্ট ভালো করিনি।’

এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথও মনে করিয়ে দিয়েছেন ইমাদ। তিনি বলেন, 'সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দল ও খেলোয়াড়েরা এতটাই ভালো যে আমরা যেকোনো ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারি। (কিন্তু) আমরা এটি চেষ্টা করে দেখিনি। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে। ব্যর্থতার ভয়কে দূরে সরাতে হবে।'

এফআই