আরও একটি বিশ্বকাপ অধ্যায়ে সঙ্গী হতাশা আর শোচনীয় বিদায়। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার সংক্ষিপ্ত সংস্করণের মেগা আসরেও পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। প্রথমে আইসিসি সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হার, এরপর বাবর আজমের দল ভারতের বিপক্ষে একেবারে তীরে গিয়ে ৫ রানে হেরে যায়। কানাডা-আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও বিশ্বকাপ থেকে তাদের বিদায় ঠেকানো যায়নি। তবে বিদায়ের আগে একটি রেকর্ড গড়েছেন বাবর।

বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে গতকাল (রোববার) আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। ফ্লোরিডার লডারহিলে আইরিশরা ১০৬ রানের ছোট পুঁজি পেলেও, সেই লক্ষ্য পেরোতে নাজেহাল দশা হয় বাবরদের। শেষ পর্যন্ত ৭ বল এবং ৩ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয়ে অধিনায়কই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন। যদিও তার ইনিংসটি ছিল পুরো বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সের মতোই ধীরগতির (৩৪ বলে)। তবুও বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি গড়ে ফেলেছেন বাবর।

সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ৫৪৯ রান এখন এই পাক তারকার। এই রান করতে তিনি বিশ্বকাপে ১৭টি ইনিংস খেলেছেন। এতদিন অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনির। তিনি টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ আসরে ২৯ ইনিংসে ৫২৯ রান করেন। তৃতীয় অবস্থানে আছেন পাকিস্তানের মতোই চলতি আসরের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেওয়া নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। ১৯ ইনিংসে তিনি করেছেন ৫২৭ রান।

সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি

এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় থাকা পরবর্তী দুই তারকা অনেক আগেই ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। চারে থাকা শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে ১১ ইনিংসে করেন ৩৬০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক অধিনায়ক ১৬ ইনিংসে ৩৫২ রান করেছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে বাবর ৪০.৬৬ গড়ে ১২২ রান করেন। যা পাকিস্তানের হয়ে এবারের আসরে কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। তবে স্ট্রাইকরেটের জন্য ঠিকই সমালোচনা চলছে পাক অধিনায়কের। কারণ এই রান করতে তিনি খেলেছেন ১২০ বল, ফলে তার স্ট্রাইকরেট দাঁড়ায় ১০১.৬৬। বিশ্বকাপে সেরা রানসংগ্রাহকের তালিকায় থাকা প্রথম সারিতে এত কম স্ট্রাইকরেট কারও নেই, এ ছাড়া এ তালিকায় দশে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানের স্ট্রাইকরেট মাত্র ৯০।

এএইচএস