যে কারণে রোহিতের সঙ্গে তর্কে জড়ান তানজিম সাকিব
ক্রিকেট ম্যাচে বোলার ও ব্যাটারের মাঝে উত্তপ্ত চাহনি রোমাঞ্চ বাড়িয়ে তোলে। বিশেষত পেসারদের আগ্রাসী মনোভাব এক্ষেত্রে কাজ করে জ্বালানি হিসেবে। বয়সভিত্তিক দল থেকেই তেমনই মনোভাব দেখিয়ে আসছেন বাংলাদেশের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। নিজের বিশ্বরেকর্ড গড়ার ম্যাচেও আজ (সোমবার) নেপালের অধিনায়ক রোহিত পৌড়েলের সঙ্গে তাকে উত্তপ্ত বাদানুবাদ করতে দেখা গেছে। ম্যাচ শেষে এর কারণও জানিয়েছেন তানজিম সাকিব।
সুপার এইট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যালেতে আজ সকালে হিমালয়ান দেশটির মুখোমুখি হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ধারাবাহিক ব্যর্থতার চিত্র সাজালেও, বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ম্যাচটিতে জয় পায় টাইগাররা। বাংলাদেশের দেওয়া ১০৬ রানের লক্ষ্য কঠিন করে তোলেন তানজিম সাকিব–মুস্তাফিজুর রহমানরা। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে তানজিম একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। বিনিময়ে তরুণ এই পেসার মাত্র ৭ রান খরচ করেন। একইসঙ্গে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২১টি ডট বল করেন তানজিম।
বিজ্ঞাপন
তবে এরই মাঝে ঘটে তার সঙ্গে নেপালিজ অধিনায়কের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা। দ্বিতীয় ইনিংসে তখন নেপাল তৃতীয় ওভারে ব্যাট করছিল, বোলিং আক্রমণে থাকা তানজিমের একটি বলে ডিফেন্ড করার পরই স্ট্রাইকে থাকা রোহিতের সঙ্গে ঘটনার সূত্রপাত। কিছুক্ষণ উত্তপ্ত চাহনির পর দুজন পরস্পরের দিকে এগিয়ে বাদানুবাদেও জড়ান। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেখানে আগমন হয় নন–স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান আসিফ শেখ ও আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কির। তখন অবশ্য বোঝা যাচ্ছিল না কি নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছে ভিনদেশি দুই তারকার মধ্যে।
পরে ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের কাছে এ নিয়ে উত্তর দেন তানজিম। রোহিতের দিকে তেড়ে যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘ কোনো পরিকল্পনা করে করিনি এটা, সহজাতভাবেই ঘটে যায়। প্রথমে সে আমার দিকে আক্রমণাত্মকভাবে তাকিয়ে ছিল, যেটা আমি পছন্দ করিনি। আমি ওকে বলেছি, তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছ কেন? আমি জায়গামতো বোলিং করার চেষ্টা করেছি। আক্রমণাত্মক মানসিকতা এমনিতেই চলে আসে। এটা পরিকল্পনা করে করি না।’
আরও পড়ুন
ক্রিকেটে এমন আক্রমণাত্মক মানসিকতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তানজিম, ‘যেকোনো মুহূর্তে আক্রমণাত্মক থাকতে হবে। অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। আমি ওকে (রোহিতকে) বলছিলাম, কাজটা সহজ নয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ম্যাচটা জিতেছি। এখানাকার পিচে স্পিনাররা টার্ন পেয়েছে, পেসাররা বাড়তি বাউন্স পেয়েছে। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা এই রান ডিফেন্ড করতে পারব, ফলে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) June 17, 2024
রেকর্ডগড়া বোলিং নিয়ে টাইগার পেসার আরও বলেন, ‘আমি এই স্পেলটা এবং বোলিং করতেও খুব উপভোগ করেছি। এর আগে নেপালের পেসাররাও ভালো করেছে, সেটা লক্ষ্য করেছি আমরা। তারা অতিরিক্ত বাউন্স পেয়েছে, আমরা সেটা নিয়ে কথা বলছিলাম। পরে আমরাও উইকেটে জোরে বল করতে চেয়েছি। এরপর দেখতে চেয়েছি কী হয়।’ বাংলাদেশের আপাতত লক্ষ্য সুপার এইটের দিকে। গ্রুপ পর্বের মতো সেখানেও একাদশে থাকলে তানজিমের কাছে নিশ্চয়ই এমন আগ্রাসী মনোভাব ও ফর্ম দেখতে চাইবেন টাইগার ক্রিকেটভক্তরা!
এএইচএস