বিশ্বকাপ থেকে শ্রীলঙ্কার বিদায়ে যাকে দায় দিলেন হাসারাঙ্গা
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রথম রাউন্ড থেকে থেকে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আসরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের কাছে হেরে তাদের সুপার এইটে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এরপর আরেকটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের। এদিকে, দেশের বিমান ধরার আগে আজ (সোমবার) নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে লঙ্কানরা, এরপর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেন হাসারাঙ্গা।
যদিও বিশ্বকাপ শুরুর ১০ দিন আগেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছিল এশিয়ান দেশটি। সেখানে দুটি ওয়ার্ম ম্যাচ খেলে শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নেন হাসারাঙ্গা-ম্যাথিউসরা। এরপরও নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউইয়র্কের নাসাউতে খেলতে নেমে মাত্র ৭৭ রানেই তারা অলআউট হয়ে যায়। এরপর টাইগারদের কাছে হারের পর লঙ্কান স্পিনার মাহেশ থিকশানা চার ম্যাচ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়া দলটির অধিনায়ক হাসারাঙ্গাও কথা বললেন অনেকটা তার সুরে।
বিজ্ঞাপন
তবে প্রথমে ফল বিপর্যয়ের দায়টা নিজেদের কাঁধে নেন হাসারাঙ্গা, ‘যখন আপনি ম্যাচ হেরে যান, তারপর পিচ এবং অন্যান্য বিষয়কে দোষ দিতে পারেন। কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটি ভালো বিষয় নয়। কারণ অন্য দলগুলোকেও একই পিচেই খেলতে হচ্ছে। তাই আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদের মতো করেই খেলাটা ভালোভাবে শেষ করা। আমরা একটি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি, তাই এর দায় তো আমাদেরই নিতে হবে। আমরা এখানকার পরিবর্তন মানিয়ে নিতে পারিনি, এটাই আমাদের মূল দুর্বলতা।’
আরও পড়ুন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কা দল ছোট একটি অনুশীলন ক্যাম্প করেছিল আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনায়। তবে সেখানে তেমন সুযোগ-সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ হাসারাঙ্গার। লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘১০ দিন আগে আমাদের এখানে নিয়ে এসে অনুশীলন ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আমরা ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ দিতে চাই। এটি বড় বিষয় ছিল। যা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এখানকার কন্ডিশন, আবহাওয়া ও ভিন্ন টাইমজোনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য।’
এরপরই অল্প সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পিচে খেলতে হয়েছে বলে ক্ষোভ ঝরেছে লঙ্কান অলরাউন্ডারের কণ্ঠে, ‘এরপর আমরা যখন যুক্তরাষ্ট্রের এক অঞ্চল থেকে আরেকটাতে গিয়েছি, পিচ ছিল ভিন্ন ভিন্ন। অথচ একটি দেশের বিভিন্ন মাঠের পিচ প্রায় একই থাকলেও, তেমনটা দেখা যায়নি যুক্তরাষ্ট্রে। আমরা নিজেদের মতো করে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম ম্যাচটাই নিউইয়র্কে খেলতে হয়েছে এবং যেটি আমাদের জন্য ভালো যায়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ডালাসেও পিচ নিয়ে অসুবিধায় পড়তে হয়। দল এবং দলের অধিনায়ক হিসেবে এর দায় তো আমাকেই নিতে হবে।’
উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ নেদারল্যান্ডসকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লঙ্কানরা। প্রথমে ব্যাট করে তারা ডাচদের ২০২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। যার বিপরীতে নেদারল্যান্ডস অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১১৮ রানে। ডাচদের সুপার এইটের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ নেপালকে হারিয়ে দেওয়ার পরই। লঙ্কানদের কাছে হেরে অন্তত সেই ক্ষত কমাতে পারত, সেটিও হয়নি শেষ পর্যন্ত।
এএইচএস