গ্রুপ পর্ব থেকে কারা যাচ্ছে শেষ আটে, সেটা প্রায় নিশ্চিত হয়েই গেছে। ৮ দলের মধ্যে ৭ দলই এখনই পাকা। বাকি একটি স্লটের জন্য আগামীকাল মাঠে নামছে বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডস। ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে দুই দলেরই প্রত্যাশা জয়ের। এরপর বাকি থাকবে গ্রুপ পর্বের আর দুই ম্যাচ।

৩৬তম ম্যাচের দিনে বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে দাপট দেখাচ্ছে আফগানিস্তান। ‘সি’ গ্রুপ থেকে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে উত্থান তাদের। ব্রায়ান লারার হিসেবে তারা ছিল সেমিফাইনালের দৌড়ে। লারা কেন তাদের দেখেছিলেন সেরা চারে, তার প্রমাণ ভালোভাবেই দিয়েছে আফগানরা।  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটে বলে কিংবা ম্যাচ ইম্প্যাক্টে আফগানরাই সবার চেয়ে এগিয়ে। 

ব্যাটিং ইউনিটের শুরুতে আফগানদের ভরসা রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানের দারুণ জুটি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন তারা। 

ব্যাট হাতে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সংগ্রাহকের তালিকাতেও আছে দুজনের নাম। সবার ওপরে আফগানিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার গুরবাজ। ৩ ম্যাচে গুরবাজের সংগ্রহ ১৬৭ রান। বোলিংসহায়ক এই বিশ্বকাপেও গুরবাজ রান তুলেছেন ৫৫ এর বেশি গড়ে। সেটাও মোটেই ধীরগতির ইনিংসে নয়। ১৫৪.৬২ স্ট্রাইকরেট জানান দেয় আটলান্টিক পাড়ে ব্যাট হাতে ঝড়ই তুলেছেন গুরবাজ। 

খুব একটা পিছিয়ে নেই গুরবাজের ওপেনিং পার্টনার ইব্রাহিম জাদরান। গড় বা স্ট্রাইকরেটে একটু পিছিয়েই আছেন তিনি। ৩৮ গড় আর ১২১ স্ট্রাইকরেটে তার রান ১১৪। আছেন ব্যাটারদের তালিকার আটে। 

দুইয়ে আছেন দারুণ ছন্দে থাকা অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। তিন ইনিংসে ৭৮ গড়ে তিনি করেছেন ১৫৬ রান। তার সতীর্থ ট্রাভিস হেড আছেন তিনে। অজি ওপেনারের সংগ্রহ ১৪৮ রান। গড় ৫০ এর কিছুটা নিচে। 

অন্যদিকে বোলারদের তালিকাতেও শীর্ষে একজন আফগান তারকা। পেসার ফজল হক ফারুকি যেন এই আসরে অপ্রতিরোধ্য। এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ১২ উইকেট। আর কোন বোলারই ডাবল ডিজিটে নিতে পারেননি উইকেটের সংখ্যাকে। ৯ উইকেট পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নরকিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা। 

সেরা দশে আছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। তার ঝুলিতে আছে ৬ উইকেট। 

তবে উইকেট সংখ্যার চেয়ে আফগানিস্তান বোলারদের কার্যকরীতা বোঝা যায় তাদের গড় এবং ইকোনমি রেটের দিকে। বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ খেলে ফারুকি বোলিং করেছেন মোটে ৩ দশমিক ৭০ ইকোনমিতে। আর ১২ উইকেট শিকারের পথে প্রতি উইকেটের জন্য ব্যয় করেছেন মোটে ৩ দশমিক ৫০ রান। 

কিপ্টে বোলিংয়ে পিছিয়ে নেই রশিদ খানও। উইকেটপ্রতি তিনি খরচ করেছেন মাত্র ৯ রান। আর ওভারপ্রতি ব্যয় করেছেন সাড়ে ৪ রান।

জেএ/এইচজেএস