অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে স্কটল্যান্ড। তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা দল হলেও, চলতি বিশ্বকাপসহ মেগা আসরগুলোতে তারা নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়ে আসছে। তাদের বিদায়ে সুপার এইটের দুয়ার খুলেছে ইংল্যান্ডের। আগে ব্যাট করে স্কটল্যান্ড এদিন (রোববার) ১৮০ রান তোলে, যা অস্ট্রেলিয়া ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে।

সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড খেললেও, তীক্ষ্ণ নজর ছিল ইংলিশদের। কারণ এই ম্যাচে অজিদের জয়ের ওপর নির্ভর করছিল তাদের সুপার এইটে খেলার বিষয়টি। স্কটল্যান্ড জিতলে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায়ও গ্রুপপর্ব থেকে জস বাটলারদের বিদায় হয়ে যেত। তেমন কিছু ঘটেনি, চলতি বিশ্বকাপের সপ্তম দল হিসেবে ইংল্যান্ড সুপার এইটে পা রাখল।

অজি–স্কটিশদের ম্যাচটি চলতি বিশ্বকাপের নিরিখে বড় রানের ম্যাচ। ফলে ম্যাচটিতে রেকর্ড হওয়ার কথাও রানের দিক থেকে। ব্যাট হাতে প্রথমে ঝড় তুলেছিল স্কটল্যান্ড। তাদের হয়ে ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন বিশ্বকাপের দ্রুততম ফিফটি করেছেন। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার রানতাড়ায়ও কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। যেখানে বেশিরভাগ অবস্থান মার্কাস স্টয়নিসের। ম্যাচটিতে হওয়া রেকর্ডগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের। ২০১০-২০১২ আসরে ইংল্যান্ড এবং ২০১২-১৪ আসরে ভারত টানা সাতটি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছিল। সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ থেকে চলমান ২০২৪ আসরে এখন পর্যন্ত তাদেরও টানা জয় ৭টি। এ ছাড়া সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে ছয়টি করে ধারাবাহিক জয়ের রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়া (২০১০), শ্রীলঙ্কা (২০০৯) এবং ভারতের (২০০৭-০৯)।

ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন

২৬

স্কটল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার অর্ধশতক এসেছে মাত্র ২৬ বলে।

৫৯

অস্ট্রেলিয়ার রানতাড়ায় সর্বোচ্চ ৬৪ রান ট্রাভিস হেড করলেও, মূলত জয়ের নায়ক মার্কাস স্টয়নিস। ২৯ বলে তিনি ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। যদিও রানতাড়া করার দিক থেকে তার এই ইনিংসের অবস্থান ছয় নম্বরে। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার (২০২১) লক্ষ্য তাড়ায় ১৬ বলে ২৪, শ্রীলঙ্কার (২০২১) বিপক্ষে ১০ বলে ১৬, পাকিস্তানের (২০২১) বিপক্ষে ৩১ বলে ৪০, কিউইদের বিপক্ষে (২০২২) ১৪ বলে ৭, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (২০২২) ১৮ বলে ৫৯ করেছেন স্টয়নিস। সবমিলিয়ে রানতাড়ায় ১০২.৫০ গড় এবং ১৭৮.২৬ স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাটে এসেছে ২০৫ রান।

মার্কাস স্টয়নিস

১৮০

ম্যাকমুলেন ও জর্জ মুনশির জুটিতে অজি বোলারদের ওপর কার্যত তাণ্ডব চালায় স্কটল্যান্ড। ইনিংস শেষে দলটিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৮০ রান সংগ্রহ করে। যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। 

১৮১

অস্ট্রেলিয়ার সামনে স্কটিশদের দেওয়া লক্ষ্য ছিল ১৮১ রানের। যা তারা ১৯.৪ ওভারে পেরিয়ে যায় ৫ উইকেটে। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়ার রানতাড়া নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে একই ভেন্যুতেই ২০১০ আসরে পাকিস্তানের দেওয়া সর্বোচ্চ ১৯২ রানের লক্ষ্য পেরিয়েছিল অজিবাহিনী। এ ছাড়া শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দেওয়া ১৭৭ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৩ রানের রানতাড়া করে জিতেছে।

১৬০.২

ম্যাচটি জিততে শেষ ৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৬০ রান। যাতে সফল হওয়া অজিরা বিশ্বকাপে রান তাড়ায় ম্যাচের এ সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬০.২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে। প্রথম ১৩ ওভারে ৭.০৮ গড়ে রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া, পরবর্তী ৭ ওভারে রানতাড়া করে ১৪.১১ গড়ে।

এএইচএস