সুপার এইটের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে ২ উইকেটে জয়ের পর, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হৃদয়ভাঙার গল্প। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২৫ রানের সহজ জয়। এবার নেপালকে হারাতে পারলেই ২০০৭ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের সেরা আটে নাম লেখাবে বাংলাদেশ। তবে এমন সুসময়ের মাঝেও বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা। 

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্তত এক ইনিংস ব্যাট করেছেন এমন ব্যাটারদের তালিকায় বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আছেন ৯৪তম স্থানে। ৩ ম্যাচ ব্যাট করে তার রান ২২। গড় ৭.৩৩। শান্তর এমন দিনে স্বান্তনা, তারচেয়ে কম গড় আছে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসনের। যদিও, উইলিয়ামসন খেলেছেন দুই ইনিংস। 

কমপক্ষে তিন ইনিংস খেলেছেন, টেস্ট খেলুড়ে দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে শান্তর নিচে কেবল আছেন পাকিস্তানের ব্যাটার উসমান খান। আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানে নাম লেখানো এই ব্যাটার তিন ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ১৮ রান। 

শান্তর চেয়ে কিছুটা ভাল অবস্থানে আছেন লিটন দাস। ৩ ম্যাচে করেছেন ৪৬ রান। তার গড় ১৫.৩৩। আর স্ট্রাইকরেট ৮৭ এর নিচে। লিটনের চেয়ে ১ রান বেশি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। ৪৭ রান করে তিনি আছেন ৫১তম স্থানে। জুনিয়র তামিমের স্ট্রাইকরেট অবশ্য ১১৪ এর বেশি। 

এবারের বিশ্বকাপে শান্ত (নেদারল্যান্ডস ম্যাচ পর্যন্ত)

ম্যাচ: ৩ 

রান: ২২ (যৌথভাবে ৯৪তম) 

গড়: ৭.৩৩

স্ট্রাইকরেট: ৫৬.৪১

৪/৬: ০/১

ইম্প্যাক্ট: ১.৭ 

তবে শান্তর অবস্থা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত। বাংলাদেশ অধিনায়কের স্ট্রাইকরেট ৫৬.৪১। কমপক্ষে ১ ইনিংস ব্যাট করেছেন এমন তালিকায় শান্তর চেয়ে কম স্ট্রাইকরেট পূর্ণ সদস্যের কোনো দেশের ক্রিকেটারদের নেই। এই তালিকায় শান্তই সবার নিচে। 

তবে শান্তর মান বাঁচিয়েছেন উগান্ডা এবং ওমানের ক্রিকেটাররা। এই বিশ্বকাপেই দুইবার সর্বনিম্ন ইনিংসের রেকর্ড গড়া উগান্ডার খেলোয়াড়রাই কেবল ব্যাট করেছেন শান্তর চেয়ে কম স্ট্রাইকরেটে। কমপক্ষে তিন ইনিংস ব্যাট করে শান্তর চেয়ে কম স্ট্রাইকরেট কেবল ৬ জনের। যার তিনজন উগান্ডার, একজন করে পাপুয়া নিউগিনি এবং ওমানের।

উগান্ডার কিনিথ উইসা ৩ ম্যাচে ব্যাট করেছেন ৪৩.১৮ স্ট্রাইকরেটে। আল্পেশ রামজানি ৪ ইনিংস খেলেছেন ৫৪.১৬ স্ট্রাইকরেটে। উইসার মতো ৩ ইনিংস খেলে ৫২ এর কম স্ট্রাইকরেট পাপুয়া নিউগিনির টনি উরার। ওমানের কাশ্যপ প্রজাপতির স্ট্রাইকরেট ৪৮.৪৮। 

এদের প্রত্যেকেই রান সংগ্রহে আছেন শান্তর নিচে। তবে শান্তর ওপরে থাকা একজনই কেবল স্ট্রাইকরেটের নিরিখে আছেন ওপরের দিকে। তিনি ৪৯ রান করা রিয়াজাত আলী শাহ। তার স্ট্রাইকরেট ৪৪.১৪। তবে রিয়াজাতের মাহাত্ম্য আলাদা। প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে আসা উগান্ডাকে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। ৩৩ রান করে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। 

স্ট্রাইকরেটে এগিয়ে থাকলেও তাই শান্ত রিয়াজাতের তুলনায় খুব বেশি ইম্প্যাক্ট রাখতে পেরেছেন এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর করা ইম্প্যাক্ট লিস্টে টাইগার অধিনায়ক আছেন ২১৮তম স্থানে। আর টোটাল ইম্প্যাক্ট ১.৭। তার নিচে আছেন মোটে ৩৪ জন।

জেএ