ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা আটের রূপরেখা। আইসিসির সবচেয়ে বেশি দলের বিশ্বকাপ থেকে এরইমাঝে বাদ পড়েছে ১০ দল। সুপার এইটে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে ৬ দল। আইসিসির পূর্ব নির্ধারিত গ্রুপ সিডিং থেকে বাদ পড়েছে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। 

আবার ‘বি’ গ্রুপের সিডিংয়ে ইংল্যান্ডকে রাখা হলেও তাদের নিয়ে আছে প্রশ্ন। সেখান থেকে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হয়ে উঠে যেতে পারে স্কটল্যান্ড। যদিও ইংল্যান্ড এরইমাঝে নিজেদের রানরেটের প্রশ্নে নিজেদের এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু স্কটল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার ম্যাচে ফলাফল নিয়ে আছে শঙ্কা। বিশেষ করে অজি পেসার জশ হ্যাজেলউডের মন্তব্যের পরেই তৈরি হয়েছে ম্যাচ গড়াপেটার করার প্রশ্ন। 

জটিলতা আছে ডি গ্রুপ নিয়ে। বাংলাদেশের জন্য সমীকরণ এক্ষেত্রে সহজ। নেপালের বিপক্ষে জয় দরকার বাংলাদেশের। এক্ষেত্রে কোনো কারণে সেন্ট ভিনসেন্টে বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও টাইগাররা চলে যাবে সুপার এইটে। পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ পাবে ১ পয়েন্ট। মোট পয়েন্ট পাবে ৫। সেক্ষেত্রে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট (৪) বাংলাদেশের তুলনায় কমই থাকবে। 

তবে নিজেদের ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেলে আর নেদারল্যান্ডস শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিলে কিছুটা গাণিতিক হিসাব সামনে আসবে। এইক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট হবে সমান ৪। তখন বাংলাদেশের রানরেট কম হলেই বাদ যাবে তারা। 

আপাতত তাই সুপার এইটের জন্য লড়ছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং বাংলাদেশ। এদের মধ্যে বাংলাদেশ আর নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কোয়ালিফাই করা দল যাবে সুপার এইটের ‘প্রথম’ গ্রুপে। যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ‘এ’ গ্রুপের ভারত, ‘বি’ গ্রুপের অস্ট্রেলিয়া এবং ‘সি’ গ্রুপের আফগানিস্তান। বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করলে তারা আসবে এই গ্রুপে। 

আর ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোয়ালিফাই করা দল যাবে সুপার এইটের ‘দ্বিতীয়’ গ্রুপে। যেখানে আগে থেকেই জায়গা নিশ্চিত করেছে টুর্নামেন্টের দুই স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডি গ্রুপ থেকে এখানে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

সুপার এইট গ্রুপ - ১ সুপার এইট গ্রুপ - ২
ভারত (এ১) যুক্তরাষ্ট্র (এ২)
অস্ট্রেলিয়া (বি২) ইংল্যান্ড/স্কটল্যান্ড (বি১)
আফগানিস্তান (সি১) ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সি২)
বাংলাদেশ/নেদারল্যান্ডস (ডি২) দক্ষিণ আফ্রিকা (ডি১)

জেএ