টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল খুব বাজেভাবে। অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অভিষেক আসরেই বাবর আজমদের হারিয়ে বড় আপসেটের জন্ম দেয়। সেই দলের সঙ্গে আবারও লড়াইয়ে নেমেছে পাকিস্তান, তবে মুখোমুখি লড়াই নয়। তাদের সঙ্গে হতে চলা আয়ারল্যান্ড ম্যাচের দিকে তাকিয়ে পুরো পাকিস্তান। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায়, ম্যাচটি দুই ঘণ্টায়ও শুরু করা যায়নি। ইতোমধ্যে ম্যাচ শুরুর সর্বশেষ সময়সীমাও জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি।

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় রাত ১২.১৬ মিনিট (স্থানীয় সময় দুপুর ২.১৬ মিনিট) পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। সে সময়ের মধ্যে মাঠ পুরোপুরি খেলার জন্য উপযুক্ত হলে ম্যাচ হবে ৫ ওভারের। অর্থাৎ, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফল নির্ধারণের জন্য ন্যূনতম যে গণ্ডি, সেটি যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ডকে খেলাতে চায় আইসিসি। ৫ ওভারও খেলা সম্ভব না হলে, ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যাবে এবং বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে পাকিস্তানের।

কয়েকদিন ধরে ফ্লোরিডায় বৃষ্টি আর বন্যার সতর্কতা চলছিল, যার কারণে আজ (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচটিও নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টায়ও মাঠে গড়ায়নি। ম্যাচের আগেই ৯০ শতাংশের বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছিল আবহাওয়া বার্তায়। খেলা শুরুর সময় কিংবা পরে আর বৃষ্টি না হলেও, এর আগে হওয়া মুষলধারে বৃষ্টিতে মাঠের আউটফিল্ডে অনেক পানি জমেছিল। সে কারণে আউটফিল্ড শুকাতে জোর তোড়জোড় চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের দুই আম্পায়ার শহীদ সৈকত ও রড টাকার

ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। এর আধাঘণ্টা আগেই টস হওয়ার কথা। তবে আউটফিল্ড ভেজা থাকা বারবার মাঠ পর্যালোচনা করতে দেখা গেছে আম্পায়ারদের। আধাঘণ্টা পরপরই ম্যাচের ফিল্ড আম্পায়ার ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত, রড টাকার ও রিজার্ভ আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছেন। সবশেষ ইনসপেকশন পরিচালিত হয়েছে সাড়ে ১০টায়, এরপর আবারও আম্পায়াররা পর্যালোচনা করবেন সোয়া ১১টায়।

বিশ্বকাপের সূচি বলছে, পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা বাবর আজমরা সুপার এইটে কোয়ালিফাই করবে কি না, এটা পরিস্কার হয়ে যেতে পারে আজই। যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচটিতে আইরিশদের জয় দরকার পাকিস্তানের। এরই মধ্যে দুই জয়ে অনেকটাই সুপার এইটের পথে যুক্তরাষ্ট্র। আইরিশদের হারাতে পারলে সুপার এইটে চলে যাবে তারা। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি হলেও স্বাগতিক আমেরিকা পা রাখবে পরের রাউন্ডে। 

এএইচএস