একের পর এক ম্যাচ যায়, আর সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হতে থাকেন সাকিব আল হাসান। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই ছিল বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের নিয়তি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাকিব পতনের এই ধারা আগেও দেখেছেন, প্রতিবারই ফিরে এসেছেন ফর্ম দেখিয়ে নিজস্ব মহিমায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে স্বস্তির এক ফিফটি করেছেন সাকিব। যা তার জন্য যেমন নিজেকে খুঁজে পাওয়ার, তেমনি নাম তুলেছেন কয়েকটি মাইলফলকেও।

সেই মাইলফলকের আলোচনা পুরোনো, অনেকটা নীরবে সাকিব অনন্য এক রেকর্ডও গড়েছেন। যে কীর্তি বিশ্বকাপ ইতিহাসে আর কোনো ক্রিকেটারের নেই। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সাকিবই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি কমপক্ষে ৮০০ রানের পাশাপাশি ৪০ উইকেট নিয়েছেন।

সর্বশেষ ভারতের মাটিতে হওয়া আসরসহ এখন পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন সাকিব। যেখানে তার রান ১৩৩২ এবং বল হাতে শিকার ৪৩ উইকেট। অন্যদিকে, এবার মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবকটিতে খেলছেন সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই প্রতিযোগিতায় তার রান ৮১৭ এবং উইকেট ৪৩টি। যে কীর্তি কারও ভাঙা কিংবা ধারেকাছে যাওয়ার সম্ভাবনা–ও এ যাবতকালে নেই।

সাকিব বল হাতে ব্রেকথ্রু দিলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তার বড় দুশ্চিন্তা ছিল ব্যাটিংয়ে। সেন্ট ভিনসেন্টে গতকাল ডাচদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২৫ রানের জয়ে তিনিই করেছেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। ম্যাচশেষে ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের জন্য সাকিব ম্যান অব দ্য ম্যাচ–ও হয়েছেন। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সাকিবের ৪৫তম। এখন পর্যন্ত তিনি টেস্টে ৬, ওয়ানডেতে ২৭ ও টি–টোয়েন্টিতে ১২ বার ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

অথচ এর আগে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বশেষ ১৯ ম্যাচে অর্ধশতক ছিল না সাকিবের। ফরম্যাটটিতে তার সবশেষ ফিফটি এসেছিল ২০২২ বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরে। তার দীর্ঘ ফিফটির খরাও কাটলো গতকাল। যা টি-টোয়েন্টিতে তার ত্রয়োদশ ফিফটি। এর মধ্য দিয়ে আরও একটি মাইলফলক পূর্ণ হয়েছে সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে গতকাল তিনি ১০০তম অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন। এ ছাড়া ফরম্যাটটিতে ২৫০০ রানও পূর্ণ হয় গতকাল, যা টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এএইচএস