এক ফিফটিতে একাধিক মাইলফলক সাকিবের
ব্যাট-বল হাতে বেশ ধুঁকছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে এমন পরিস্থিতি আগেও দুর্দান্তভাবে পার করেছেন সাবেক এই বাংলাদেশ অধিনায়ক। অন্ধকারে পথ খুঁজে নেওয়ার উপায়টা তার ভালোই জানা আছে। তবে এখনই সাকিবকে ধারাবাহিক বলা চলে না। অন্তত আলোর রেখা খুঁজে পাওয়ার ম্যাচে তিনি স্বস্তির এক ফিফটি পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের দৌড়ে টিকে থাকার যাত্রায় টাইগারদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন সাকিব।
ডাচদের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে। যেখানে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ বলে ৬৪ রান করেছেন সাকিব। এ ছাড়া তানজিদ হাসান তামিম ২৬ বলে ৩৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২১ বলে ২৫ এবং জাকের আলি অনিক ৭ বলে ১৪ রান করেছেন। ১০ বছর পর ম্যাচ গড়ানো সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যালের পিচে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে টাইগার ব্যাটারদের, সেখানে তুলনামূলক সাবলীল ছিলেন সাকিব।
বিজ্ঞাপন
সাকিবের এমন ইনিংস দলের জন্য যেমন স্বস্তির, তেমনি নিজেকে খুঁজে পাওয়ারও। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছিলেন ২০২২ বিশ্বকাপের আগে ক্রাইস্টচার্চে। সেখানে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। এরপর ২০ ইনিংস আর ফিফটির দেখা পাননি তিনি। অবশেষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৩তম ফিফটি করেছেন ৩৮ বলে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে।
যা আন্তর্জাতিক তিন ফরম্যাটে সবমিলিয়ে সাকিবের ১০০তম ফিফটি। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৫৬ এবং টেস্ট ফরম্যাটে ৩১টি ফিফটি করেছেন সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। চলতি সপ্তাহেই টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডারদের রাজত্ব হারিয়েছেন সাকিব, এবার যেন হারানো সিংহাসন ফিরে পাওয়ার পালা!
আরও পড়ুন
এ ছাড়া ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে আরও একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব। প্রথম কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার ৫০০ রানের মাইলফলক পূর্ণ করেছেন। তার পরের অবস্থান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। রিয়াদ টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ২ হাজার ৩৪৮ রান। ১২৫ ম্যাচের ১২২ ইনিংসে সাকিব ব্যাট করেছেন ১২০’র বেশি স্ট্রাইকরেটে, মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১১৮’র ঘরে।
এএইচএস