যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক অ্যারন জোন্স ও ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা

ঘরের মাঠে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করছে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে চলতি আসরের সবচেয়ে বড় আপসেটের জন্ম দেয় তারা। এ নিয়ে দুই ম্যাচ জিতে আমেরিকানরা সুপার এইটের সুবাসও পাচ্ছিল। সেই দৌড়ে ধাক্কা খায় গতকাল ভারতের বিপক্ষে হেরে। ম্যাচটিতে নিজেদের ভুলে ৫ রান পেনাল্টিও দিতে হয় স্বাগতিকদের, ভারত জিতে যায় ১০ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে।

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের শেষ ম্যাচ ছিল ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের গতকালের লড়াইটি। এরপর আর এই স্টেডিয়ামের অস্তিত্ব থাকবে না। ইতেমধ্যে শোনা যাচ্ছে স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলার কাজ–ও শুরু করেছে আয়োজকরা। শেষ ম্যাচে গতকাল প্রথমে ব্যাট করে আমেরিকানরা তোলে ১১০ রান। আর্শদীপ সিং মাত্র ৯ রান খরচ করে একাই নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া ১৪ রানে দুই উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া।

জবাবে ভারতের যখন ৫ ওভারে ৩৫ রান লাগবে, তখনই পেনাল্টি পায় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে পাঁচ রান জরিমানা হয়ে ভারতের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩০ বলে ৩০ রানের। যা সূর্যকুমার যাদবের ফিফটিতে তারা ১৮.২ ওভারেই টপকে যায়। এর আগে যে ভুলের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ৫ রান খুইয়েছে সেটি জেনে নেওয়া যাক। চলতি বিশ্বকাপ থেকে আইসিসি স্টপ-ক্লক নিয়ম স্থায়ীভাবে চালু করেছে। এর আগে খেলার গতি ধরে রাখতে গত বছরের নভেম্বর থেকে ওভারের মাঝের সময় পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ‘স্টপ ক্লক’ ব্যবহার শুরু করেছিল।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন ৪১.৯.৪ অনুযায়ী, ওভার শেষের ৬০ সেকেন্ড বা ১ মিনিটের মধ্যে ফিল্ডিং দলের পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে। এভাবে তিনবার নিয়মটি লঙ্ঘন হলেই ফিল্ডিংরত দলকে ৫ রান জরিমানা করা হবে। আইসিসি নিয়মটি কার্যকর করার পর প্রথম দল হিসেবে এই শাস্তি কপালে জুটল যুক্তরাষ্ট্রের। দু’বার সতর্কতা পাওয়ার পরও একইভাবে তৃতীয়বার ওভার শুরু করতে দেরি করলেন যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক অ্যারন জোন্স।

নিয়মটি বাস্তবায়নে মাঠে একটি ইলেকট্রনিক ঘড়ি থাকে, যেখানে এই সময় গণনা করা হয়। কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শুরু করতে না পারলে প্রথমবার ফিল্ডিং দলের অধিনায়ককে সতর্ক করা হয়। দ্বিতীয়বারও একই ভুল করলে তাকে আবারও সতর্ক করা হয়। এটাকে বলা হয় ‘ফাইনাল ওয়ার্নিং’ বা চূড়ান্ত সতর্কবাতা। এরপরও (তৃতীয়বারও) যদি ফিল্ডিং দল ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ওভার শুরু করতে না পারে, তাহলে ৫ রান জরিমানা দিতে হয় এবং এই ৫ রান যুক্ত হয় প্রতিপক্ষের দলীয় সংগ্রহে। যে সুবিধাটি পেয়েছে রোহিত শর্মার দল।

নাসাউয়ের স্লো পিচে রান করা এমনিতেই মুশকিল, সেখানে বাড়তি ৫ রান পাওয়া যেন সোনায় সোহাগা। যদিও ভারতের হয়ে তখন ক্রিজে ছিলেন সূর্যকুমার ও শিবাম দুবের মতো ব্যাটার। এর আগে সূর্যকুমারের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে প্রথমে নিজেদের নাগাল থেকে ম্যাচটি ফসকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যার পরবর্তীতে শেষদিকে চূড়ান্ত ভুল হিসেবে পায় ৫ রানের পেনাল্টি।

এএইচএস