শেষবার কবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের বাধা পার করেছিল বাংলাদেশ। এমন প্রশ্ন করা হলে পিছিয়ে যেতে হবে অনেকগুলো বছর আগে। ২০০৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্বোধনী আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ আশরাফুল-আফতাব আহমেদের সুবাদে সেবার বাংলাদেশ গিয়েছে সুপার এইটে। 

এরপর বিশ্বকাপের মূলপর্বে একটি জয়ের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সেবার নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে মূলপর্বে টানা হারের বৃত্ত ভেঙেছিল বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে দুই বছর পর বাংলাদেশের সামনে সেই নেদারল্যান্ডস। এবার তাদের হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার এইটে যাওয়ার রাস্তা সহজ করতে চায় বাংলাদেশ।  

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ শেষ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। যেখানে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে টাইগাররা। ৪ রানের সেই পরাজয়ের ফলে সুপার এইটের রাস্তা খানিকটা হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ দলের জন্য। গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচেই জিততে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।

আজকের ম্যাচের ওপরে নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর ভাগ্য। বাংলাদেশ আজ জিতলেই ৪ পয়েন্ট নিয়ে চলে যাবে সুবিধাজনক অবস্থানে। পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটাও অবশ্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর আগে অপেক্ষাকৃত কঠিন প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে হারাতে হবে। 

তারই প্রেক্ষিতে আজ বৃৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচ ঘিরে অনেক প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে বাংলাদেশ দল। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মহীনতায় ভুগছেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে এই ম্যাচ তার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ।

এই ম্যাচেই রানে ফিরতে গতকাল অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন সাকিব। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক শান্ত অবশ্য সাকিবের ফর্ম নিয়ে কোনো কথাই বলতে চান না। কেবল জানিয়েছেন 'সাকিব ভাইয়ের পারফরম্যান্স নিয়ে আমাদের দলের কেউই চিন্তিত না। আমরা এটা নিয়ে কথা বলতেই চাই না। আমরা জানি তিনি বছরের পর বছর কতো ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। মানুষের থেকে তিনি নিজে যেটা আশা করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’  

এদিকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের কথায় বললেন শান্ত, 'আমাদের ভালো সুযোগ আছে। তবে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। অবশ্যই আমরা জেতার জন্য খেলব। আশা করছি খুব ভালো একটি ম্যাচ হবে। প্রত্যেক ক্রিকেটারই মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় আছে। আমরা ভালো একটি ম্যাচের জন্য আশাবাদী।'

নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে বাংলাদেশের সামনে আসছে তিক্ত এক স্মৃতি। ২০২৩ বিশ্বকাপে এই ডাচদের কাছে হেরেই সমালোচনার আগুনে পুড়েছিল বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায় না টাইগাররা। 

নেদারল্যান্ড ম্যাচের আগে দুশ্চিন্তার আরেক নাম রায়ান কুক। ডাচদের এই হেডকোচ দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচের ভূমিকায় ছিলেন। সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তদের বেশ ভালভাবেই চেনেন তিনি। বাংলাদেশকে তাই খেলতে হবে রায়ান কুকের বিপক্ষেও। 

এসএইচ/জেএ