১৮ ওভার পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহটা বেশ মামুলিই লাগছিল। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপটাই হয়েছে লো-স্কোরিং ম্যাচের বিশ্বকাপ। সে তুলনায় খুব একটা মন্দও বলা চলে না ১১২ রানের সংগ্রহকে। ৩০ রানে ৫ উইকেট আর ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর উইন্ডিজের স্কোর ১০০ পেরিয়েছে সেটাই ছিল বড় কিছু। কিন্তু এরপরেই শুরু হলো শেরফেইন রাদারফোর্ডের ঝড়। 

১৯তম ওভারে ড্যারিল মিচেলের ওভারে এলো ১৯ রান। সেই ওভারে ছিল তিনটি ছক্কার মার। এরপরই বিশতম ওভারে নিয়ে আসা হলো স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। সেই ওভারে এলো আরও ১৮ রান। ৩৭ রানের দুই ওভারেই উইন্ডিজের স্কোর গিয়েছে ১৪৯ পর্যন্ত। রাদারফোর্ড ৩৯ বলে করলেন ৬৮ রান। এবারের বিশ্বকাপের সাপেক্ষে এমন স্কোরে সন্তুষ্ট হতেই পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

সুপার এইটে যেতে হলে জয় পেতেই হবে- এমনই এক সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। সেই লক্ষ্যে শুরুটাও হলো দুর্দান্ত। প্রথম ওভারেই জনসন চার্লসের উইকেট তুলে নিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। চলতি বছরে এই নিয়ে ৮ম বার প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছেন বোল্ট। চতুর্থ ওভারেই নিকোলাস পুরানকে ফেরান টিম সাউদি। ১৭ রানে ফেরার আগে অবশ্য রেকর্ড করেছেন পুরান। ক্রিস গেইলকে টপকে উইন্ডিজ ক্রিকেটে ট-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ সংগ্রাহক এখন পুরান। 

রস্টন চেজ ফেরেন ডাক মেরে। আর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ফেরেন ৫ বলে ১ রান করে। ৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর উইন্ডিজ ইনিংসের মেরামত প্রক্রিয়া শুরু করেন রাদারফোর্ড এবং আকিল হোসেন। আকিল ফেরেন ১৫ রানে। এরপর বিশ্বস্ত আন্দ্রে রাসেল খেললেন ৭ বলে ১৪ রানের ছোট ইনিংস। ৭৭ রানে নেই ৭ উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লোকি ফার্গুসনরা নাভিশ্বাস তুলেছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটারদের। 

রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে এরপর দলীয় রান ১০০ পার করেন রাদারফোর্ড। ১০৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন শেফার্ড। আলজারি জোসেফও এসে কাজের কাজ করতে পারেননি। ১১২ রানে ৮ম উইকেটের পতন। বাকি ছিল কেবল দুই ওভার। সেই দুই ওভারেই রাদারফোর্ড চালালেন তান্ডব। ১২ বলে তুললেন ৩৭ রান। পেলেন নিজের ফিফটি। উইন্ডিজকেও এনে দিলেন কার্যকরী সংগ্রহ। 

জেএ