মাত্র ৩৪ বলেই ইনিংস শেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে অস্ট্রেলিয়া। নামিবিয়ার সঙ্গে এর আগে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার দেখা হয়নি। একেবারে অপরিচিত দুই দলের মুখোমুখি লড়াইটা কেমন হয় সেটাই দেখার ছিল। তবে একপেশে ম্যাচটিতে মিচেল মার্শের দলের কাছে খর্বকায় নামিবিয়া কোনো পাত্তাই পায়নি। মাত্র ৭২ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটির অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস লজ্জার একটি বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন।

আজ (বুধবার) সকালে ক্যারিবীয় ভেন্যু অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় নামিবিয়া। আফ্রিকান দেশটির দেওয়া ৭৩ রানের লক্ষ্য ৯ উইকেট ও ৮৬ বল বাকি থাকতেই টপকে গিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইট পর্বে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া। কত দ্রুত ম্যাচটা শেষ করা যায় সেই চেষ্টাই যেন করছিলেন অজি ক্রিকেটাররা। প্রথমে বোলিং তোপে নাকাল করেন নামিবিয়া ব্যাটারদের, এরপর বোলারদের নির্দয় মারে লক্ষ্য পেরিয়েছেন পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই।

এদিন নামিবিয়ার অধিনায়ক এরাসমাসই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। কিন্তু প্রথম রানটি পেতে তাকে ১৭টি বল মোকাবিলা করতে হয়েছে। যা এখন আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড। এই সংস্করণে প্রথম রান নিতে এর আগে কোনো ব্যাটসম্যানকে এত বল খেলতে হয়নি। ১৭ বল খেলে প্রথম রান করা এরাসমাস ভেঙেছেন ১৭ বছর আগের বিশ্বরেকর্ড।

এর আগে ২০০৭ সালে একটি চারজাতি সিরিজে কেনিয়ার তন্ময় মিশ্র প্রথম রান করতে ১৬টি বল খেলেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে লজ্জার ‘নজির’ গড়েছিলেন তিনি। ১৭ বছর পর তাকে সেই লজ্জা থেকে মুক্তি দিলেন এরাসমাস। স্বাগতিক কেনিয়া, পাকিস্তানের সঙ্গে সেই সিরিজে খেলেছিল বাংলাদেশ এবং উগান্ডাও। লজ্জার রেকর্ড গড়ার দিনে নামিবিয়ার একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ রান করেছেন এরাসমাস।

তবে ম্যাচটিতে নামিবিয়ার হয়ে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিংও করেছেন এই অধিনায়ক। শুরুর দিকে নামিবিয়া একের পর এক উইকেট হারালেও তিনি চাপে পড়েননি। স্নায়ু ধরে রেখে ৪৩ বলে ৩৬ রান করেন। খেলেছেন চারটি চার এবং একটি ছয়ের বাউন্ডারি। পরে আউট হন মার্কাস স্টয়নিসের বলে। তার আগে নবম উইকেটে জ্যাক ব্রাসেলের সঙ্গে ইরাসমাসের ২৯ রানের জুটি নামিবিয়াকে তুলনামূলক মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেয়, যদিও সেটি লড়াই করার মতো যথেষ্ট ছিল না।

এএইচএস