প্রথম দুই ম্যাচে হেরে বলতে গেলে ব্যাকফুটেই ছিল পাকিস্তান। কানাডার বিপক্ষে জিততেই হতো সুপার এইটের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে। খর্বশক্তির দলটির বিপক্ষে সেই জয়টাও পাকিস্তান পেয়েছে ১৫ বল বাকি রেখে। দলকে জেতাতে এদিন ব্যাট হাতে ভূমিকা রেখেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫৩ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থেকেছেন। দলকে ৭ উইকেটের জয় পেতে রেখেছেন কার্যকর ভূমিকা। 

সুপার এইটে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাবর আজমদের এই ম্যাচে জিততেই হত। না হলেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া ছিল নিশ্চিত। এমন আবহে এক গুরুত্বপূর্ণ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তবে এই ম্যাচ জেতাতে রিজওয়ান তার ফিফটিতে গড়েছেন লজ্জার রেকর্ড। 

২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া মেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ধীরগতির ফিফটিই গতকাল উপহার দিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কানাডার বিপক্ষে জয়ের পথে ৫২ বলে ফিফটি করেন তিনি। আর ধীরগতির এই ফিফটির জন্য  ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি ব্যাটার ডেভিড মিলারের রেকর্ড। 

চলতি বিশ্বকাপেই এই নজির গড়েছিলেন মিলার। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মিলার ৫০ বলে অর্ধশতরান করে তাঁর দলকে কঠিন এক ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলকে জিতিয়েছিলেন মিলার। কাল রিজওয়ানও এমনই ধীরগতির ইনিংস খেলেই দলকে জেতালেন বিশ্বকাপে। 

তবে কীর্তির উজ্জ্বল পাতাতেও জায়গা করে নিয়েছে রিজওয়ানের এই ফিফটি। ওপেনার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি ছিল তার ত্রিশতম অর্ধশতক পেরুনো ইনিংস। জাতীয় দলের হয়ে এই কীর্তিতে তিনি দ্বিতীয়। রিজওয়ান ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে ৩০টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন কেবল ভারতের রোহিত শর্মা। যদিও রোহিত এজন্য খেলেছেন ১১৮ ইনিংস। আর রিজওয়ান তা করেছেন ৭১ ইনিংসে। 

পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন বাবর আজম। তার পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস ছিল ৫টি। গতকালের ফিফটিতে তাকে স্পর্শ করেছেন রিজওয়ান। 

জেএ