মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্ট্রাইকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। লো-স্কোরিং ম্যাচে জয়ের জন্য পরিস্থিতি তখনও বাংলাদেশেরই নাগালে ছিল। ওটনিয়েল বার্টম্যানের ফুললেন্থের বলটা লেগস্ট্যাম্পের বাইরে চলেই যাচ্ছিল। তবে কিছুটা সরে আসা মাহমুদউল্লাহর প্যাড ছুঁয়ে যায় সেটি। 

বোলিং দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে খানিকটা দ্বিধা নিয়েই আঙুল তুলেছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি। আম্পায়ার যখন আঙুল তুলছেন আউটের, ততক্ষণে বল সীমানাছাড়া। রিয়াদ রিভিউ নিয়েছেন, তাতে সিদ্ধান্তও বদলেছে। কিন্তু, লেগবাই থেকে চার রান বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে যুক্ত হয়নি। নোগাস্কি বলটিকে ডেডবল ঘোষণা করেন। 

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছে ওই চার রানেই। হারের কারণ হিসেবে আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কিকেই দুষছেন দেশের ক্রিকেটভক্তরা। সাবেক ক্রিকেটারদের মুখেও আম্পায়ারিং এর সমালোচনা। যদিও ডেডবল সংক্রান্ত ক্রিকেটের আইন আম্পায়ারের পক্ষেই কথা বলছে। 

ক্রিকেটের ২০.২ ধারায় পরিষ্কার বলা আছে, ম্যাচে ‘ডেড বল’ নির্ধারণের ক্ষমতা শুধুই আম্পায়ারের, ‘বল শেষ পর্যন্ত মীমাংসা (ওই ডেলিভারির খেলা) হয়েছে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেবেন আম্পায়ার।’ প্রাসঙ্গিক আরেকটি ধারায় (২০.১.১.১) বলা হয়েছে, বল তখনই ‘ডেড’ হবে, ‘যখন তা উইকেটরক্ষক কিংবা বোলারের হাতে জমা পড়বে।’

সেই ধারায় আরও বলা হয়েছে, ‘বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার যখন বুঝতে পারবেন, ফিল্ডিং দল ও ব্যাটসম্যানদের খেলা থেমেছে, তখনই সেটা ডেড বল।’

এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে যেতে পারে ২০.১.১.৩ ধারাও। যেখানে বলা হয়েছে, যে মুহূর্তে বলের সাপেক্ষে আউটের সিদ্ধান্ত আসবে, সেই মুহূর্ত থেকে এটি ডেডবল ঘোষণা করা হবে। যার অর্থ, আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি, বার্টম্যানের আবেদনে আঙুল তোলার পর থেকেই সেটি ডেডবলই ছিল। 

জেএ