সাম্প্রতিক সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না বাংলাদেশ দলের। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গেল মাসে সিরিজ হারের পর সমালোচনার আগুনে পুড়ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। প্রশ্ন উঠেছিল বিশ্বকাপে ভালো করার সামর্থ্য নিয়েও। সেই গ্লানি ভুলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়ে টাইগাররা আত্মবিশ্বাস ফিরে যায়। এরপর আজ (সোমবার) এসেছে একেবারে তীরে এসে তরি ডোবানো হার। দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ ৪ রানে হেরে গেছে। 

আফ্রিকার দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না টাইগারদের। টাইগারদের চাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন তানজিদ তামিম। এরপর দলীয় ২৯ রানে ফেরেন লিটন দাসও। সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তরাও। পরে তাওহীদ হৃদয়ের ৩৭ এবং শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২০ রানে ভর করে জয়ের পথেই ছিল টাইগাররা। তবে শেষ ওভারে তারা ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি। থেমে গেছে ১০৯ রানে। 

অল্পের জন্য ফসকে যাওয়া ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টাইগার অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘আমরা কিছুটা নার্ভাস ছিলাম কিন্তু আত্মবিশ্বাসও ছিল। ভেবেছিলাম যে হয়ে (চেজ) যাবে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। (তানজিম হাসান সাকিব) গত কয়েকদিন কঠোর পরিশ্রম করেছে, আমরা নতুন বলে উইকেট চাই। সে আজ যা সে করে দেখালো, অসাধারণ।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয় পাওয়া উচিৎ ছিল বলেও মনে করেন শান্ত, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিৎ ছিল, শেষ দুই ওভার তারা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। ক্রিকেটে এটা হতেই পারে। (রিশাদ) সে খুব ভালো বল করেছে, সে খুব কঠোর অনুশীলন করেছে। আশা করি সে এমনটা চালিয়ে যাবে। সব সমর্থকদের ধন্যবাদ, আশা করি তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজেও আসবে।’

এই ম্যাচ জিতলে সুপার এইটে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে যেত বাংলাদেশ। এখন তাদের পরবর্তী দুটি ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে নামতে হবে। আজকের ম্যাচ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অধ্যায় শেষ হলো টাইগারদের, বাকি দুই ম্যাচে শান্তরা নেদারল্যান্ডস ও নেপালের মোকাবিলা করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটন ওভালে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা টানা তিন জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছে। 

এসএইচ/এএইচএস