এমন এক ম্যাচে হারতে হবে সেটা যেন ভাবতেও পারেননি পাকিস্তানের সমর্থকরা। মাঠে এবং টিভিসেটের সামনে যে যেখানে বসে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে গেছেন, প্রত্যেককেই হতাশ করেছেন শাদাব খান-ইফতেখার আহমেদরা। ভারতের দেয়া ১২০ রানের স্বল্প লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান থেমেছে ১১৩ রানে। ৬ রানের এই হার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ৭ম হার। 

লো-স্কোরিং এই ম্যাচ দেখেছে বেশকিছু অদ্ভুতুড়ে রেকর্ড। কেবল ১২০ রান নিয়েই এদিন ক্রিকেট দুনিয়া দেখেছে ক্রিকেটের ৪ রেকর্ড। 

১২০ রানে যত রেকর্ড 

পাকিস্তানের বিপক্ষে এত কম রান টার্গেট দিয়ে এর আগে জয় পেয়েছে কেবল জিম্বাবুয়ে। সেটা অবশ্য বিশ্বকাপে ছিল না। বিশ্বকাপে পাকিস্তানে সবচেয়ে কম রানতাড়া করতে গিয়ে হার এটি। এরপরেই আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নে ১২৮ রানের টার্গেটে হার। 

বিশ্বকাপেও সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ডে শীর্ষে আছে এই ম্যাচ। ১২০ রানের টার্গেটে এর আগে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। সেটা বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৪ সালে। দশ বছর পর একই রান করতে গিয়েছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লজ্জার রেকর্ডে নিউজিল্যান্ডের পাশে এখন পাকিস্তানের নাম। 

নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসেই এটিই ভারতের সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়। এর আগে জিম্বাবুয়েকে ১৩৯ রানের টার্গেটে আটকে রেখেছিল। সেটাকেও টপকে গেল তারা। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের জয়ের সংখ্যা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো একক দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি জয়ের ঘটনা। ৬টি জয়ের ঘটনা দুটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান জিতেছে ৬ ম্যাচ। শ্রীলঙ্কাও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে সমান সংখ্যক সময়ে। 

১১৯ 

বিশ্বকাপে ভারতের চতুর্থ সর্বনিম্ন ইনিংস। অলআউট হওয়া ইনিংসে এটি দ্বিতীয়। প্রথম ব্যাট করে বিশ্বকাপে এত কম রানে কখনোই অলআউট হয়নি তারা। ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর ৭৯। ২০১৬ বিশ্বকাপে সুপার টেন পর্বের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই রান করেছিল তারা। 

জেএ