লম্বা সময় ধরে ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। আজকের ম্যাচেও রান পাননি দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তারা ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডার দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে তাতে দলও জয় পেয়েছে। জয়ের জন্য দলের সবাইকে এক সঙ্গে পারফর্ম করার প্রয়োজন হয় না বলে মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

১২৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পা হড়কাতে ভুল করেননি সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। সৌম্য তো টিকলেন মাত্র দুই বল, স্লগ সুইপ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন ডাক নিয়ে। 

ক্রিজে বাংলাদেশের দুই বাঁ-হাতি ওপেনার, সে কারণে পার্টটাইমার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে দিয়ে আক্রমণ শুরু লঙ্কানদের। তাকে প্রথম বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন সৌম্য। তবে তিনি ধীরস্থির থাকতে পারলেন না মিড অনে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে বসেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে। ডাক খেয়ে ফেরেন তিনি।

সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নুয়ান থুসারার বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ বলে ৩ রান।

দুই ওপেনার প্রসঙ্গে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় না চিন্তার খুব বেশি কারণ আছে। খুব চাপের ম্যাচ ছিল। ব্যাটাররা সবাই জানে আমরা হয়ত ভালো ব্যাটিং করিনি। সবাই প্রতিদিন ভালো খেলবে না। হৃদয় খুব ভালো ইনিংস খেলেছে। রিয়াদ ভাই খেলাটা শেষ করল, লিটন অনেকদিন পরে সুন্দর একটা শুরু দিয়েছে। আমি আশা করব যে যেদিন সেট হবে সে যেন খেলাটা জিতায়। আমি আশা করি না যে দলের সাত ব্যাটারই ভালো খেলবে।’

‘খেলাটা শুধু ওপেনারের না। যে ৭-৮ জন ব্যাটার উপরে খেলি আমরা সবারই দায়িত্ব। আমি অধিনায়ক হিসেবে চাই যে সেট হবে সে যেন খেলাটা শেষ করে। আমি আশা করছি যে পরের ম্যাচে ওপেনাররা ভালো একটা শুরু দিবে এবং খেলাটা শেষ করবে। এটাই আশা করছি এবং আমি খুবই আশাবাদী যে ভালো করবে সবাই।’-যোগ করেন শান্ত

এসএইচ/এইচজেএস