আটলান্টিকের পাড়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে রীতিমত বেশ বড় এক ঝড়ই হয়েছে। সেই ঝড় এতটাই বড়, তাতে কেঁপেছে স্থলবেষ্টিত এশিয়ান দেশ আফগানিস্তান। আর তাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে তাসমান সাগরপাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ড। এই ঝড় প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয়ের না। ক্রিকেটের এক ঝড় উঠেছে গায়ানাতে।

আর তাতে পুরোপুরি কুপোকাত নিউজিল্যান্ড। ২০২১ আসরের রানারআপ দলটি গুঁড়িয়ে গিয়েছে মাত্র ৭৫ রানে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের হারতে হয়েছে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। শুরুতে রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান, এরপর ফজলহক ফারুকি আর রশিদ খান, কিউইদের সর্বনাশ করতে এটুকুই হয়ত যথেষ্ট ছিল। 

বিশ্বকাপের আগে উইন্ডিজ কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা আফগানদের রেখেছিলেন সেরা চারের তালিকায়। বড় ফেবারিটদের ফেলে কেন রশিদ খানদের সেরা চারে রেকেছেন লারা, সেটাও হয়ত আরেকবার বুঝিয়ে দিল তারা।

৯ 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ছক্কার সংখ্যা। বিশ্বকাপে এরচেয়ে বেশি ছক্কা আফগানিস্তান মেরেছে কেবল একবারই। সেটা অবশ্য সহযোগী দেশ স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ১১টি ছক্কা তারা মেরেছিল ২০২১ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে। 

এছাড়া ২০১৬ বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ৯ ছক্কা মেরেছিলেন আফগান ব্যাটাররা। 

২ 

বিশ্বকাপে গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জুটির ২য় শতরানের পার্টনারশিপ দেখা গেল আজ। ওপেনারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ২টি শতরানের পার্টনারশিপে তাদের সঙ্গী হিসেবে আছে পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের জুটি, অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্নার-ওয়াটসন এবং গিল্ক্রিস্ট-হেইডেনের জুটি। 

এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি শতরানের জুটিও এখন তাদেরই। সেখানে অবশ্য বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা এবং রিজওয়ান-বাবর জুটির নামও আছে। 

৭.১০ 

শতরানের জুটি হিসেবে সবচেয়ে ধীরগতির ইনিংস আজ খেলেছেন গুরবাজ এবং জাদরান। ওভারপ্রতি ৭.১০ করে রান তুলেছেন দুই আফগান ওপেনার। পেছনে ফেলেছেন কোহলি এবং রোহিতের ৭.৬৬ রানরেটের জুটিকে। ২০১৪ সালে মিরপুরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই জুটি গড়েছিলেন তারা। 

এরপরেই আছে ৭.৮৮ রানরেটে নামিবিয়ার বিপক্ষে রিজওয়ান-বাবরের শতরানের পার্টনারশিপ। সেটা এসেছিল ২০২১ সালে। আবুধাবির মাঠে। 

৪/১৭ 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো অধিনায়কের জন্য সেরা বোলিং ফিগার। কিউই ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়েছিলেন রশিদ খান। কেইন উইলিয়ামসন, মিচেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান এবং লকি ফার্গুসনের উইকেট পেয়েছেন এই লেগস্পিনার। পেছনে ফেলেছেন কিউই কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টরির ২০ রানে ৪ উইকেটের ফিগারকে।

কাকতালীয়ভাবে তার মতোই ১৭ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন ফজল হক ফারুকি। বিশ্বকাপের একই ম্যাচে দুই বোলারের চার উইকেট পাওয়ার ঘটনা এটি ৩য় বার। 

৭৫ 

টেস্ট খেলুড়ে দেশের হিসেবে ৫ম সর্বনিম্ন রান এটি। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আগে থেকেই আছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬০ রানে আউট হয়েছিল তারা। সবার চেয়ে কম ৫৫ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লজ্জার এই কীর্তি গড়েছিল তারা। 

জেএ