বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিয়মিত আয়োজন ছিল দ্য রেড-গ্রিন স্টোরি। দলের সঙ্গে থাকা ক্রিকেটাররা বলেছিলেন নিজেদের কথা। স্বপ্ন আর লক্ষ্যের কথা। সেখানেই সৌম্য সরকার বলেছিলেন, এবারের বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখতে চান। এরপর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই এমন এক লজ্জার রেকর্ড গড়লেন, যা হয়ত কখনোই স্মরণে আনতে চাইবেন না তিনি। 

১২৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পা হড়কাতে ভুল করেননি সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। সৌম্য তো টিকলেন মাত্র দুই বল, স্লগ সুইপ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন ডাক নিয়ে। 

ক্রিজে বাংলাদেশের দুই বাঁ-হাতি ওপেনার, সে কারণে পার্টটাইমার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে দিয়ে আক্রমণ শুরু লঙ্কানদের। তাকে প্রথম বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন সৌম্য। তবে তিনি ধীরস্থির থাকতে পারলেন না মিড অনে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে বসেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে। 

এমন অহেতুক শটে আউটের পর ডাক মারার দিক থেকে লজ্জার এক রেকর্ড গড়েছেন সৌম্য। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি 'ডাক' মারার রেকর্ড এখন বাংলাদেশের এই ওপেনারের দখলে। এ নিয়ে ১৩ বার শুন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। তবে সৌম্য হয়ত জেনে স্বস্তি পাবেন এই তালিকায় তিনি একা নন। তার সমানসংখ্যক 'ডাক' এর মালিক আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। তবে সৌম্য লজ্জা পাবেন আরেক পরিসংখ্যানে। ১৩ ডাক সৌম্য মেরেছেন মাত্র ৮৪ ম্যাচ খেলেই। আর স্টার্লিংয়ের লেগেছে ১৪৪ ম্যাচ।

তালিকার দুইয়ে আছেন রুয়ান্ডার কেভিন ইরাকোজে, আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন ও ভারতের রোহিত শর্মা। তিনজনই 'ডাক' মেরেছেন ১২ বার করে। বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌম্যর পরে আছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তারা দুজন শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৮ বার করে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ডাক সৌম্য সরকারের। ৪টি ডাক আছে তার। মাত্র ১৬ ইনিংসে এমন কীর্তি তার। যার অর্থ, প্রতি চার ইনিংসে একটি করে শূন্য আছে সৌম্যর। টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপে শূন্যের রেকর্ডে অবশ্য সৌম্যের ওপরে আছেন আরও দুজন। তার চেয়ে বেশিবার খালি হাতে ফিরেছেন তিলকারাত্নে দিলশান ও শাহিদ আফ্রিদি। বিশ্বকাপের দুজনই রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়েছেন ৫ বার করে।

জেএ