আমেরিকার বিপক্ষে সিরিজ হারের জন্য কম সমালোচনা সইতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। পুরো টাইগার স্কোয়াড নিয়েই এ সময় ব্যাপক ট্রল শুরু হয়েছে। অবশ্য বাজে পারফরম্যান্স মানেই এমন ঘটনা সঙ্গী হয় শান্ত–সাকিবদের। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেটারদের হাস্যরসে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি ভক্ত-সমর্থকরা। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত’র কাছে।

শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অধিনায়ক শান্ত। এ সময় ট্রল বন্ধ হবে কি না এই প্রশ্নে শান্ত’র জবাব, ‘এটা তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা কথা বলে তারা বলতে পারেন (ট্রল বন্ধ হবে কি না)। আমরা আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতেও পারব না। আমার মনে হয় না খেলোয়াড়রা এগুলো নিয়ে খুব বেশি ভাবে।’

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে অবশ্যই বাকি তিন ম্যাচের দুটিতে জিততে হবে টাইগারদের। যে কারণে দলের সবার মনোযোগও এখন সেদিকেই, ‘এই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, পরের তিন ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। (সেসব ম্যাচের জন্য) নতুন করে পরিকল্পনা করে আসতে হবে। ভালো খেলা ছাড়া উপায় নেই। আমরা ব্যাটাররা যদি অবদান রাখতে পারি তাহলে ভালো করতে পারব।’

এর আগে ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টকে দেওয়া মন্তব্যে হৃদয়-লিটনের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি তারা (লঙ্কানরা) সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে আমাদের সহজেই জেতা উচিৎ ছিল। লিটনের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে কিছুটা সংগ্রাম করছে, কিন্তু তার দক্ষতা দেখিয়েছে আজ। আমার মনে হয় সে সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। হৃদয়ও অনেক সাহসী ছিল। সে যেভাবে ওভার বাই ওভার খেলছিল, তা আমাদের সাহায্য করেছে।’

‘মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিম’ উল্লেখ করে শান্তদের নিয়ে মজা করার বিষয়টি ক্রিকেটাররাও জানেন। স্বাভাবিকভাবেই কোনো নির্দিষ্ট ম্যাচ, সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটাররা দোয়া চান দেশবাসীর কাছে। যেটিকে ট্রলের জন্য উপযুক্ত বলে বেছে নেন সমর্থকরা। সাকিব আল হাসানও মজার ছলে সেটি উল্লেখ করে সম্প্রতি দোয়া চাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান। অবশ্য জয় পেলে সেই মনোভাব পাল্টে ফেলতেও সময় নেন না দেশের আবেগী ক্রিকেটভক্তরা!

এসএইচ/এএইচএস