অতীতেও মাঠের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ দলের পথ হারানোর অনেক নজির রয়েছে। দলীয় সাফল্যের মধ্য দিয়ে কক্ষপথেও ফিরেছে নিজস্ব ঢঙয়ে। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নাজমুল হোসেন শান্তদের সময়টা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ফলে বিশ্বকাপেও কত খারাপ পারফরম্যান্স দেখা লাগতে পারে, সেই শঙ্কা ছিল দেশের ক্রিকেটভক্তদের। তবে সেসব ছাপিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগাররা প্রথমবারের মতো এই সংস্করণের বিশ্বকাপে জয় তুলে নিয়েছে। 

২ উইকেটের জয়ের এই ম্যাচে কতটা চাপে ছিলেন শান্তরা, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এমন চাপের মুখোমুখি আর কখনও হননি বলে মত টাইগার অধিনায়কের, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে এর আগে এমন প্রেশারের ম্যাচ আর খেলিনি। আল্লাহর রহমতে আজকে আমরা ম্যাচ জিতেছি। আমরা সবাই জানতাম ম্যাচটা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা বোলিংয়ে কিন্তু শুরুটা ভালো পাইনি। এরপর সবাই যেভাবে শান্ত ছিল।’

তবে শান্ত অবশ্য খুশি এই ধরনের অচেনা উইকেটে ম্যাচ জিততে পারায়। যদিও সেই জয় এসেছে অনেকটা ধুঁকে ধুঁকে। মাঝে তাওহীদ হৃদয়ের ২০ বলে ৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংসই মূলত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। যাই ঘটুুক, সবমিলিয়ে জয়টাকেই বড় করে দেখছেন শান্ত, ‘যেভাবে আমরা মিডল ওভারে কামব্যাক করেছি সেটা দারুণ ছিল, বিশেষ করে বোলার ফিল্ডারদের অবদানে। আমাদের ব্যাটিংটাও ভালো হয়নি প্রথমদিকে। এই ধরনের উইকেটে বা চাপের ম্যাচে ওরাও (শ্রীলঙ্কা) ভালো করেছে। তবে আমরা ২ পয়েন্ট পেয়েছি, ভালো লাগছে।’

এর আগে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে শান্ত বলেন, ‘সবার শরীরি ভাষা দারুণ ছিল। আমরা আমাদের ১২০ শতাংশ দিয়েছি। গত ১০-১৫ দিন ধরে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম আর সব ফিল্ডাররা তাদের কাজটুকু করেছে। আমার মনে হয় খুব ভালো বল করেছি, কিন্তু এ ধরনের উইকেটে আমাদের আরও আগেই জেতা উচিৎ ছিল।’

সাম্প্রতিক সময়ের বাজে ফলাফলের দিক থেকে দেখলে বাংলাদেশর জয়টা অবশ্যই স্বস্তির। যা তাদের নতুন করে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। তবে স্বল্প পুঁজির ম্যাচকে কঠিন বানিয়ে ফেলার এই প্রক্রিয়া থেকেও নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসার জন্য কাজ করবেন টাইগাররা। বিশেষত যেখানে আত্মবিশ্বাসী হয়ে রান তাড়া করার কথা, সেখানে সেই মুখস্থ খেলায় খেই হারিয়েছেন টপ অর্ডারে থাকা অধিনায়ক শান্তসহ সৌম্য-তানজিদরা। যা বিশ্বকাপের আগে থেকেই বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে! 

এসএইচ/এএইচএস