বিশ্বকাপে মাত্র দুই ম্যাচের আয়োজন করেই সমালোচনা কাঁধে তুলে নিয়েছিল নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। কারণ দুটি ম্যাচই যে একশ রানের আগেই থেমেছিল। তার ওপর ছিল বলের ওঠা–নামার তারতম্য ও পিচের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ। সেসব ছাপিয়ে তুলনামূলক ভালো ম্যাচ উপহার দিয়েছে কানাডা ও আয়ারল্যান্ড। তবে দু’দলের লড়াইয়ে হয়ে গেছে ইতিহাস। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়েছে অভিষেক বিশ্বকাপ খেলতে নামা কানাডা।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহযোগী দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়েছিল আমেরিকানদের প্রতিবেশী দেশটি। অবশ্য সেই রান তাড়া করে জিতে রেকর্ড ভেঙে দেয় আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। তবে গতকাল রাতে আর কানাডাকে হতাশ হতে হয়নি। দিনের একমাত্র ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে তারা ৭ উইকেটে ১৩৭ রান তোলে। জবাবে আইরিশদের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১২৫ রানে।

ম্যাচটিতে জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। দুই থিতু ব্যাটসম্যান জর্জ ডকরেল ও মার্ক অ্যাডাইর তখনও ক্রিজে, অথচ শেষ ওভারের সমীকরণ মেলাতে পারলেন না এই দুই অভিজ্ঞ। জেরেমি গর্ডনের করা শেষ ওভারে এলো মাত্র ৪ রান। আর তাতেই টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে তৃতীয়বার জয় পেল কানাডা। আগের দু’বারও তারা এই আইরিশদেরই হারিয়েছিল। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এলো প্রথম জয়।

এদিন যদিও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কানাডার শুরুটা ভালো হয়নি। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের আইরিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়তে হয়। মাত্র ৫৪ রানেই কানাডা হারায় ৪ উইকেট। দুই ওপেনার নবনীত ঢালিওয়াল ৬ রান ও অ্যারন জনসন করেছেন ১৪ রান। এরপর ক্রিজে আসা পরগাত সিং (১৮ রান) এবং দিলপ্রীত বাজওয়া–ও (৭ রান) ফিরেছেন দ্রুতই। ফলে তাদের বড় পুঁজি গড়তে না পারার শঙ্কায় পড়তে হয়। সেখান থেকে ৭৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামলান শ্রেয়াস মোভা ও নিকোলাস কির্তন। শেষ পর্যন্ত মোভা ৩৭ ও কির্তন ৪৯ রান করেন। ফলে মোটামুটি লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় কানাডা।

আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রেগ ইয়ং ও ব্যারি ম্যাকার্থি। তবে বোলাররা রানতাড়ার কাজ সহজ করে দিলেও, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পল স্টার্লিংরা। কারণ তাদের শুরুটাই ছিল ভারত ম্যাচের মতো নড়বড়ে।

আয়ারল্যান্ড ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। একে একে ফেরেন অধিনায়ক স্টার্লিং (৯), অ্যান্ড্রু বালবার্নি (১৭), লরকান টাকার (১০), হ্যারি টেক্টর (৭), কার্টিস ক্যাম্ফার (৪) ও গ্যারেথ ডেলানি (৩)। সেখান থেকে ৪১ বলে ৬২ রানের জুটি গড়ে আইরিশদের প্রতিযোগিতায় ফেরায় ডকরেল-অ্যাডাইর জুটি। কিন্তু শেষদিকে কানাডার ডেথ ওভার আর সামলাতে পারেননি দুই সেট ব্যাটার। যদিও শেষ পর্যন্ত ডকরেল ২৩ বলে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। অ্যাডাইর করেন ৩৪ রান।

কানাডার হয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি ২টি করে উইকেট নিয়েছেন গর্ডন ও ডিলন হেইলিগার। এ ছাড়া জুনাইদ সিদ্দিকি ও সান বিন জাফর একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এএইচএস