সাম্প্রতিক সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্বাগতিক আমেরিকার বিপক্ষে সিরিজ হার যেন বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে সমর্থকদেরও। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ভুলে বিশ্বকাপের মূলপর্বে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নাজমুল হোসেন শান্তদের। আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। 

আটলান্টিক পাড়ের বিশ্বকাপে কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে সবচেয়ে বেশি পথ ভ্রমণ করতে হবে টাইগারদের। প্রশ্ন উঠতেই পারে, যেখানে পারফরম্যান্স ঠিকঠাক কথা বলছে না ক্রিকেটারদের হয়ে। তার ওপর ভ্রমণক্লান্তি আরও বিপদ বাড়াতে পারে টিম টাইগার্সের।

'ডি' গ্রুপের চারটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশকে ভ্রমণ করতে হবে ৯ হাজার ৯২১ কিলোমিটার, অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার। এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা, ৮ হাজার ৯৭ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী অন্য ১৯ দলের ভ্রমণপথ কম। যেখানে সবচেয়ে কম পথ পাড়ি দিতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। জস বাটলারদের গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলো খেলতে ভ্রমণ করতে হবে মোটে ৫০৫ কিলোমিটার। অন্যদিকে, 'ডি' গ্রুপের চারটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশকে ভ্রমণ করতে হবে ৯ হাজার ৯২১ কিলোমিটার, অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার। এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা, ৮ হাজার ৯৭ কিলোমিটার।

তৃতীয় স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসকে ভ্রমণ করতে হচ্ছে ৭ হাজার ৩৮০ কিলোমিটার। চতুর্থ স্থানে থাকা নেপাল ৪ হাজার ২১৪ কিলোমিটার ভ্রমণ করবে। এ ছাড়া পঞ্চম স্থানে থাকা কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান তিন দলই ৩ হাজার ৯২২ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করবে। ৩৪৩৪ কিলোমিটার নিয়ে আয়ারল্যান্ড আছে ষষ্ঠ স্থানে। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্রমণপথ ৩ হাজার ৩০৬ কিলোমিটার।

একই ভেন্যুতে তিনটি ম্যাচ খেলতে যাওয়া ভারতকে পাড়ি দিতে হবে ১ হাজার ৭১৭ কিলোমিটার পথ। এ ছাড়া স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রুপপর্বে ১ হাজার ৭০৯ কিলোমিটার ভ্রমণ করবে। অন্যান্য দলের মধ্যে পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডা ১ হাজার ২৪৬ কিলোমিটার, স্কটল্যান্ড ১ হাজার ২৪২ কিলোমিটার ও অস্ট্রেলিয়া ১ হাজার ১৯৫ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করবে। নামিবিয়া, ওমান, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ভ্রমণপথ এক হাজার কিলোমিটারেরও কম। 

এসএইচ/এফআই