বেশ ঘটা করেই লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) নাম লিখিয়েছিল ডাম্বুলা থান্ডার্স। দলের বিদেশি আইকন করা হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানকে। সর্বশেষ নিলাম থেকে শক্ত একটা দলও গঠন করেছিল তারা। কিন্তু নিলামের একদিন পরেই ডাম্বুলা থান্ডার্সের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। 

আসন্ন লিগটিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অংশগ্রহণ নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে এবার একটা গতি হলো ডাম্বুলার। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে খেলতে যাচ্ছেন মুস্তাফিজরা। দলটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে ডাম্বুলা সিক্সার্স।

ডাম্বুলা থান্ডার্সকে বহিস্কার করা হলেও একই স্কোয়াড টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে। ডাম্বুলার ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেকুইয়া কনসালটেন্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। যারা লস অ্যাঞ্জেলসভিত্তিক একটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনসাল্টিং ফার্ম। এই প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ মালিকানা লঙ্কান নাগরিক প্রিয়াঙ্গা ডি সিল্ভয়ার অধীনে। একইসঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সিইও।

ডাম্বুলা থান্ডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে এসএলসি চুক্তি বাতিল করার পর ডি সিলভা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ক্রিকেটের সাথে আগে থেকে যুক্ত এই শ্রীলঙ্কানকেই শেষপর্যন্ত দলের দায়িত্ব তুলে দেয় লঙ্কান বোর্ড।

এর আগে ডাম্বুল থান্ডার্সের মালিকানায় ছিলেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি নাগরিক তামিম রহমান। তার সঙ্গে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা আছে বলে জানা গেছে। ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন তামিম। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রণীত ক্রীড়া আইনের ২০১৯ সালের অপরাধ প্রতিরোধের আইনি ধারায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কাই সর্বপ্রথম ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত বেশ কিছু অপরাধকে আইনি ধারায় নিয়ে এসেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে এই সংক্রান্ত তিনটি অপরাধ প্রতিরোধের বিল দেশটির সংসদে পাস করা হয়। সেসময় জানা গিয়েছিল, আইন প্রণোয়নের আইসিসির দুর্নীতি প্রতিরোধী ইউনিটের সঙ্গে কাজ করেছিল লঙ্কান ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

এফআই