বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে রাতে মাঠে নামছে ভারত। খেলা হবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। শুধু এই ম্যাচ না, বিশ্বকাপে নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ আর গ্রুপপর্বের আরও দুই ম্যাচ এখানেই খেলবে টিম ইন্ডিয়া। আর সেই ম্যাচের আগেই বেশ বড় রকমের বিতর্ক আর সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভারতের ম্যাচভেন্যু নিয়ে তীর্যক মন্তব্য যেমন এসেছে, তেমন আলোচনা হয়েছে পিচের মান নিয়েও। 

নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম কদিন আগেও ছিল পার্ক। সেটাকেই রাতারাতি স্টেডিয়ামে বদলে ফেলা হয়। ফর্মুলা ওয়ান রেসট্র্যাক থেকে উড়িয়ে আনা হলো গ্যালারি। ড্রপ ইন পিচ তৈরি করা হলো অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড স্টেডিয়ামের আদলে। কিন্তু সেই পিচে হওয়া ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অলআউট হলো ৭৭ রানে। ৭৮ রান করতে দক্ষিণ আফ্রিকা খেলল ১৬ ওভারের বেশি। 

নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম অনেকটা তোড়জোড় চালিয়ে বানানো হয় মাত্র পাঁচ মাসে। অনুশীলন সুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। ভারতকে তাই অনুশীলন করতে হয়েছে একটি পার্কে। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত দলের কোচ। দ্রাবিড় সরাসরিই মন্তব্য করলেন, ‘পার্কে অনুশীলন করার বিষয়টি বেশ অদ্ভুত।’ 

দ্রাবিড় বলেন, ‘বিশ্বকাপের জন্য আপনার অবশ্যই বড় স্টেডিয়াম আছে, অথবা স্টেডিয়াম থাকাও স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু আপনি জানেন যে আমরা একটি পাবলিক পার্কে অনুশীলন করছি।’ 

এদিকে পিচ নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টিতে এত কম রানের পিচ নিয়ে বেজায় চটেছেন তারা। সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরেকারের মন্তব্য, ৮০র দশকের পিচ আর ২০২০ সালের ব্যাটার। খুব একটা জমল না। ভারতের হয়ে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা ইরফান পাঠান সরাসরিই বললেন, ‘এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আদর্শ পিচ নয়।’ 

আরেক সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে ব্যাখ্যা করেন তার টুইটে, ‘ড্রপ-ইন পিচে এটায় হয়। শুরুতে ঘাসের একটা অতিরিক্ত স্তর থাকে। যেটা ঠিক হতে হতে সময় নেয়। এরকম মাঠে কিছুদিন ক্রিকেট খেলা চালাতে হয়। এরপরই সেটা ব্যাট করার জন্য ভাল একটা পিচ হয়ে ওঠে।’ 

এদিকে সাবেক ক্রিকেটাররা নাসাউ কাউন্টির সমালোচনা করলেও শ্রীলঙ্কার স্পিনার মাহিশ থিকশানা যেন এমন কিছুই পেতে চাইলেন। ভারত একই মাঠে তিন ম্যাচ ও এক অনুশীলন ম্যাচ পেয়েছে। যেখানে শ্রীলঙ্কাকে খেলতে হচ্ছে চারটি আলাদা আলাদা মাঠে। যা নিয়ে বেশ বিরক্ত এই স্পিনার। 

ভারতের নাম না নিলেও ঠিকই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাহিশ থিকশানা। লঙ্কান এই মিস্ট্রি স্পিনারের বক্তব্য, ‘আমি সেই দলের নাম উচ্চারণ করতে পারব না যারা কিনা একই ভেন্যুতে খেলে যাচ্ছে। তাই ওরা জানে কন্ডিশন কেমন। ওরা একই মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। আর কেউ এই সুযোগ পাচ্ছে না। আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল ফ্লোরিডায়। এরপর তৃতীয় ম্যাচ হবে সেখানে।’   

জেএ