বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বড় সম্ভাবনা দেখছেন আফ্রিদি
এক মাসে তিনটি সিরিজ খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সেরেছে পাকিস্তান। যদিও সেখানে তাদের স্বস্তির সময় কাটেনি। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের সঙ্গে সিরিজ ড্র করার পর আয়ারল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ম্যাচেই হেরে বসে বাবর আজমের দল। যদিও শেষ দুই ম্যাচ জিতে তারা মান বাঁচায়। এরপর ইংল্যান্ডে দুই ম্যাচেই হেরে যান বাবররা। তবুও বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন সাবেক কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
এ নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) পিসিবির এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে নিজের চাওয়ার কথা জানান আফ্রিদি। বর্তমানে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে থাকা দলটিকে তিনি চলতি বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখছেন। এমনকি টুর্নামেন্টটির আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনকে পাকিস্তান দলের জন্য উপযোগী বলেও মনে করেন ২০০৭ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টসেরা আফ্রিদি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য বেশ উপযুক্ত। আমাদের স্পিনার ও পেস বোলাররা ভালো এবং ব্যাটাররাও দুর্দান্ত ফর্মে আছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফিল্ডিং, পাকিস্তানের ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য প্রতিটি সুযোগকেই কাজে লাগানো উচিৎ।’
এর আগে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব থেকে জামাই শাহিন আফ্রিদিকে সরিয়ে বাবরকে পুনর্বহাল করায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন আফ্রিদি। তবে এখন দলের প্রয়োজনে তাকে পুরো দলের সমর্থন দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন। সাবেক এই পাকিস্তান কিংবদন্তি বলেন, ‘পুরো দলেরই উচিৎ বাবরকে সমর্থন দেওয়া, বিশেষ করে সিনিয়ররা। যখন অধিনায়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেবে, তার উচিৎ ভয়হীনভাবে নেওয়া। আমি আত্মবিশ্বাসী যে পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে।’
চলতি বিশ্বকাপ শুরুর সপ্তাহখানেক আগে আসরটিতে আফ্রিদিকে শুভেচ্ছাদূত ঘোষণা করেছিল আইসিসি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা ক্রিস গেইল, সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ও কিংবদন্তি গতিমানব উসাইন বোল্টের পর তাকে বিশেষ এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই সময় নিজের অনুভূতি জানিয়ে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি ইভেন্ট, যা আমার হৃদয়ের খুব নিকটে। উদ্বোধনী আসরে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া এবং ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরার মুহূর্ত আমার কাছে এখনও স্মরণীয়। আমার ক্যারিয়ারের পছন্দের কিছু হাইলাইটস এই প্রতিযোগিতা থেকে অর্জিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন
‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সাম্প্রতিক সময়ে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং এই ফরম্যাটের অংশীদার হতে পেরে অনেক রোমাঞ্চিত। যেখানে আগের বেশি প্রতিযোগী (দল), বেশি ম্যাচ এবং অনেক বেশি নাটকীয়তা দেখা যাবে। বিশেষ করে আমি ৯ জুন ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি দেখার জন্য অনেক রোমাঞ্চ অনুভব করছি। নিউইয়র্কে হতে যাওয়া ম্যাচগুলোর মধ্যে এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় রাইভালরি’, আরও যোগ করেন আফ্রিদি।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত রয়েছে একই গ্রুপ ‘এ’তে। আগামী ৭ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে বাবরের দল। এরপর ৯ জুন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, ১২ জুন কানাডা ও ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ।
এএইচএস