আইপিএলে খেলতে দেয়া হয়নি ইনজুরি নিয়ে শঙ্কা থাকায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শরিফুল ইসলামকে ইনজুরিতে পেয়েই বসেছে। ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্ম আপ ম্যাচের শেষের দিকে ইনজুরিতে পড়েন শরিফুল। তখন থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল হয়ত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা মিস করতে যাচ্ছেন এই পেসার। 

ইনজুরির পরপরই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল তাকে। বাংলাদেশ দলের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় শরীফুলের চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে বলেছিলেন, বাঁ-হাতের তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে যে জায়গা, সেখানে একটা স্প্লিট ইনজুরি হয়েছে শরীফুলের। মাঠে প্রাথমিক পরিচর্যার পর তাকে ম্যাচ শেষে নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

তার মাঠে ফেরার সময়টা এখনও নিশ্চিত নয় বলেও জানিয়েছিলেন বিসিবির এই চিকিৎসক। ক্ষতস্থানে হ্যান্ড সার্জনের তত্ত্বাবধানে ছয়টা সেলাই করা হয়েছে বলে জানান হয় সেসময়। 

এরপর গতকাল নতুন করে শরিফুল সম্পর্কে দুঃসংবাদ দিলেন বিসিবির আরেক ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম। শরিফুলের সবশেষ অবস্থা নিয়ে এই ফিজিওর ভাষ্য, ‘এ ধরনের সেলাইয়ে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিরাময় হয়ে যায়। বাকিটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। আরও তিন-চার দিন পর ওর ব্যাপারটা বোঝা যাবে। কারও কারও খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। তবে প্রথম ম্যাচে তাঁকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।’

অর্থাৎ, প্রথম ম্যাচে শরিফুলের থাকা না থাকা এখন পর্যন্ত আটকে আছে ধোঁয়াশায়। পুরো ব্যাপারটিই নির্ভর করছে শরিফুলের সেরে ওঠার ওপর। কোনো কারণে এই পেসার ছিটকে গেলে ১৫ জনের স্কোয়াডে যুক্ত হবেন রিজার্ভে থাকা পেসার হাসান মাহমুদ। 

শরিফুলকে নিয়ে হতাশা থাকলে তাসকিনকে নিয়ে ঠিকই ভালো খবর দিয়েছেন বায়েজেদুল ইসলাম। প্রথম ম্যাচ থেকেই দলের সহ-অধিনায়ককে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি, ‘তাসকিন অনেক উন্নতি করেছে। আজ আউটডোরে বোলিং করার পরিকল্পনা ছিল যেহেতু বোলিং করার পরিকল্পনা করেছে, তাঁকে এ কারণে ইনডোরে আসা। ৫ জুন তাঁর পুরোপুরি বোলিং শুরুর কথা। সেটা দেখে বলা যাবে ৭ জুনের ম্যাচে ওকে পাব কি না। এখন পর্যন্ত তার খুব ভালো অগ্রগতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাসকিনের সম্ভাবনা খুব ভালো। এ কারণেই সে বিশ্বকাপ দলে আছে। এ ধরনের চোট চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। এ ধরনের চোটের পর শতভাগ ফিট বলা যায় না, তবে অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে সে। আশা করি, ৭ জুনের মধ্যেই শতভাগ ফিট হয়ে যাবে।'
 
জেএ