নবাগত উগান্ডার বিপক্ষে আফগানিস্তানের লক্ষ্যটা কেবল জয় না। রশিদ খানের দল চেয়েছিল রানরেটের ব্যবধানটাও এগিয়ে রাখতে। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল হয়েছে তারা। ১২৫ রানের বিশাল জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা চতুর্থ বৃহত্তম জয়। রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানের ফিফটির পর ফজল হক ফারুকির ফাইফার নিশ্চিত করেছে আফগানদের বড় জয়।   

১৮৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অসাধারণ এক কাভার ড্রাইভে চার মেরে উগান্ডা ইনিংসের সূচনা করেন রোনাক প্যাটেল। কিন্তু সেই কাভার ড্রাইভের চেয়েও দৃষ্টিনন্দন ছিল ফারুকির পরের দুই বল। দুর্দান্ত দুই ইয়র্কার ডেলিভারিতে ফেরান উগান্ডার দুই ব্যাটারকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা ছিল। তবে সেটা হয়নি। অবশ্য ফারুকির হ্যাটট্রিক না হলেও উইকেটের জন্য ভুগতেও হয়নি আফগানিস্তানকে। পরের ওভারে মুজিব উর রহমানের বলে ফেরেন আরেক ওপেনার সেজাই। ৮ রানে ৩য় উইকেটের পতন উগান্ডার। 

দলীয় ১৮ রানে আবার জোড়া আঘাত। এবার শিকারী নাভিন উল হক। তিন বলের ব্যবধানে নিয়েছেন ২ উইকেট। প্রথমে দীনেশ নাকরানি হয়েছেন বোল্ড। আর দুই বল পর আল্পেশ রামজানি স্লিপে ক্যাচ দেন গুলবাদিন নাইবের হাতে। ১৮ রানেই পতন ঘটে ৫ম উইকেটের। শঙ্কা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানের গুটিয়ে যাওয়ার। 

তবে রিয়াজত আলী শাহকে নিয়ে সেই লজ্জা থেকে উগান্ডাকে মুক্তি দেন রবিনসন ওবুয়া। উগান্ডার ইনিংসে এই দুজনেই কেবল গিয়েছেন ডাবল ডিজিটে। দলীয় ৪৭ রানে আরেক দফায় ফারুকির জোড়া আঘাত। রিয়াজাত এবং ব্রায়ান মাসাবাকে ফেরান এই পেসার। ওই ওভারের শেষ বলেই রবিনসনের উইকেট নিয়ে ফাইফার পূর্ণ করেন ফারুকি।

দলীয় ৫৮ রানে পরপর দুই উইকেট নিয়ে উগান্ডার ইনিংস গুটিয়ে দেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। আফগানদের জয় আসে ১২৫ রানে। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে মাত্রই আইপিএল জিতে আসা রহমানউল্লাহ গুরবাজ উগান্ডার বিপক্ষে দাঁড় করালেন দেড়শ পার করা ওপেনিং জুটি। একটা পর্যায়ে ধারণা করা হয়েছিল, এই ম্যাচেই হয়ত বিশ্বকাপে প্রথম দুইশ পেরুনো ইনিংস দেখবে ক্রিকেট দুনিয়া। তবে কিছুটা হতাশ হতেই হলো আফগানিস্তানের শেষ দিকের ব্যাটিংয়ে।

উগান্ডা ডেথ ওভারে উপহার দিল পিকচার পারফেক্ট বোলিং। শেষ ৫ ওভারে তারা দিয়েছে মোটে ২৫ রান। ১৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলা আফগানিস্থান ২০ ওভারে করল ৫ উইকেটে ১৮৩। মঙ্গলবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গুরবাজ ৪৫ বল খেলে মেরেছেন ৪ ছক্কা ও ৪ চার। জাদরান ৪৬ বল খেলে মেরেছেন ৯ চার ও ১ ছক্কা। দুজনের উদ্বোধনী জুটি তুলল ১৫৪ রান। 

কিন্তু এরপর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। নাজিবুল্লাহ জাদরান ২, গুলবাদিন নাইব ৪ আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ফেরেন ৫ রানে। মোহাম্মদ নবী করেছেন ১৬ বলে ১৪। গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান ছাড়া আফগানদের হয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি কেউই। কিন্তু বড় জয়ের জন্য পর্যাপ্ত রানের পুঁজিটা ততক্ষণে হয়ে যায় আফগানদের জন্য। 

জেএ