টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চার ছক্কার ফুলঝুড়ি হবে এটাই যেন হওয়ার কথা ছিল। তবে এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবার দুই পূর্ণ সদস্যের দেশ যেন পণ করেছিল কোনো বাউন্ডারিই থাকবে না তাদের ইনিংসে। শ্রীলঙ্কা আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে এলো মোটে ১২ বাউন্ডারি। দুই দলই আবার সেটাও করেছে মেপে মেপে। লঙ্কান ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ৩ ছয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসেও বাউন্ডারি সংখ্যা ছিল ঠিক এমনই। 

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে লঙ্কানরা করেছিল ৭৭ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো পূর্ণাঙ্গ সদস্যের স্কোর বিবেচনায় যা পঞ্চম সর্বনিম্ন। এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম অবশ্য আছে দুইবার। ২০১৬ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ এবং ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭২ রান করেছিল টাইগাররা। আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এটি লঙ্কানদের সর্বনিম্ন রান। 

শ্রীলংকাকে গুড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল আনরিখ নরকিয়ার। ৭ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট ছিল তার। যা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা বোলিং ফিগার। সামগ্রিকভাবে বিশ্বকাপে এটি সেরার তালিকায় ১১তম। আর পূর্ণাঙ্গ সদস্যের মধ্যে ম্যাচের বিচারে এর স্থান ৯ম। 

ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও যে খুব একটা সুবিধা করতে পেরেছে তা নয়। ৭৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে তাদের খেলতে হয়েছে ১৬ ওভার পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত তারা করেছে ৮০ রান। সেখানেও মোটে ৩০ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে।  

রানতাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ৬ ওভারে করেছে মাত্র ২৭ রান। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় রক্ষা পেয়েছে সহজেই। প্রথমে কুইন্টন ডি কক (২০) ও ত্রিস্তান স্টাবস (১৩) ২৮ রান যোগ করেন। পরে হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার মিলে বাকি কাজটা সারেন।

দুই দল মিলে করেছে ১৫৭ রান। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রান সংখ্যায় ৪র্থ সর্বনিম্ন। তিনেও আছে এই দুই দলের ম্যাচ। ২০১২ বিশ্বকাপে এই দুই দলই তুলেছিল ১২৪ রান। তবে সেবার খেলা হয়েছিল মোটে ৭ ওভারে। বৃষ্টি বাঁধায় কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। আর দুটি টেস্ট প্লেয়িং নেশন বিবেচনায় এটই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। 

জেএ