জিম্বাবুয়ে সিরিজে চোটের পড়ার পর তাসকিন আহমেদকে বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে কিনা সেই শঙ্কা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের নতুন এই সহ-অধিনায়ককে প্রথম ম্যাচ থেকে পাওয়ার আশা রয়েছে। এরই মাঝে নতুন দুঃসংবাদ হাজির, প্রথম ম্যাচে খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোটে পড়া শরিফুল ইসলামের। তার হাতে লেগেছে ছয়টি সেলাই।

বাংলাদেশ দলের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় শরীফুলের চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘শেষ ওভারে একটি বল ঠেকাতে গিয়ে বাঁ-হাতের তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে যে জায়গা, সেখানে একটা স্প্লিট ইনজুরি হয়েছে শরীফুলের। মাঠে প্রাথমিক পরিচর্যার পর তাকে ম্যাচ শেষে নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

তার মাঠে ফেরার সময়টা এখনও নিশ্চিত নয় বলেও জানিয়েছেন বিসিবির এই চিকিৎসক, ‘ওর ক্ষতস্থানে হ্যান্ড সার্জনের তত্ত্বাবধানে ছয়টা সেলাই করা হয়েছে। দুই দিন পর আমরা আবারও হ্যান্ড সার্জনের কাছে যাব। তখন আমরা আসলে বুঝতে পারব যে ওর ফিরতে কত সময় লাগবে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে স্বাগতিকদের সঙ্গে কানাডার উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে একঝাঁক রেকর্ড গড়ে আয়োজক দেশটি অভিষেক বিশ্বকাপ আসর শুরু করেছে। এর আগেরদিন (শনিবার) শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬০ রানের বড় হারই দেখেছে টাইগাররা, তবে সেই হারের চেয়েও বড় ক্ষত হয়ে দেখা দিয়েছে শেষদিকে পাওয়া শরিফুলের চোট।

ভারতের ১৮২ রান করা ম্যাচটিতেও দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন বাঁ–হাতি এই পেসার। ৩.৫ ওভারে তিনি এক উইকেট নিয়ে ২৬ রান দেন। এরপর নিজের শেষ বলটি করার সময় হার্দিক পান্ডিয়ার একটি ফিরতি বল ঠেকাতে গিয়ে নিজের বোলিং হাতেই চোট পান শরিফুল। ফলে শেষ বল আর করতে পারেননি তিনি। উঠিয়ে নেওয়া হয় মাঠ থেকে। পরে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ শেষে শরিফুলকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা জানান।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আগামী ৮ জুন, ডালাসের ম্যাচটিতে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। প্রস্তুতি যেমনই হোক, বিশ্বকাপের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় শুরুতেই ধাক্কা খেল শান্ত–সাকিবরা। শরিফুল ম্যাচটি খেলতে না পারলে, তাসকিন ও মুস্তাফিজুর রহমানের পাশে পেস আক্রমণে দেখা যেতে পারে তানজিম হাসান সাকিবকে।

এএইচএস