ঠিক কী করলে রানের দেখা পাবেন বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার? কোচ ডেভিড হেম্প বা খেলোয়াড়দের কেউই এই উত্তর জানেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিশ্বকাপে নিজের চরম অফফর্মকে সঙ্গী করেই উড়াল দিয়েছিলেন লিটন কুমার দাস এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত্র। দুজনের কেউই রানের দেখা পাননি প্রস্তুতির এই লম্বা সময়ে। 

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে তো লিটনকে বসিয়েই রাখা হয়েছিল দুই ম্যাচ। বিকল্প উইকেটরক্ষক জাকের আলীর বাজে কিপিং এবং ব্যাট হাতে ব্যর্থতার সুবাদে তাকে আনা হয়েছে স্কোয়াডে। কিন্তু চরম বাজে অবস্থার মাঝে থাকা লিটন এবারের সুযোগটাও হারিয়েছেন হেলায়। আর্শদীপ সিংয়ের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে খেই হারিয়েছেন। ব্যাট আর পায়ের ফাঁক গলে বল গিয়েছে স্ট্যাম্পে। 

সৌম্য সরকারও বোকা বনেছেন এর আগে। সেই আর্শদীপের বলেই। আউটসুইং হওয়া বলটায় স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। আর অধিনায়ক নাজমুল শান্ত যেন তাদের চেয়েও পিছিয়ে। 

৬ বলে শূন্য রান করে মাথা নিচু করে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ককে। সিরাজের বলে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অফস্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরের সেই বল কেন মিডঅনের ওপর দিয়ে খেলতে চাইলেন, সেটার ব্যাখ্যা হয়ত শান্ত নিজেই ভালো দিতে পারবেন। 

জাতীয় দলের টপঅর্ডারে ব্যর্থতার চিত্র একদিনের নয়। তবে সেটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে প্রচেষ্টাটুকু করার দরকার, জাতীয় দলের স্বীকৃত এই তিন ব্যাটার তা করতে পারবেন কি না সেটা নিয়ে আছে বড় রকমের অনিশ্চয়তা। বেলায় বেলায় ক্যারিয়ারের মধ্য গগণে চলে এসেছেন তিনজনেই। আছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে শুধু প্রশ্ন, কবে আসবে টপঅর্ডারের সুদিন? 

জেএ