প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা উগান্ডা। দলটি কতটা রোমাঞ্চিত, সেটি সবার আগে তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন দেখেই টের পাওয়া যায়। তবে আইসিসির নির্দেশে সেই জার্সিতে পরিবর্তন এনেছে উগান্ডা। হালকা পরিবর্তন এনেই তারা বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার আদেশ পালন করেছে।

অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট ডটকম এইউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সারস পাখি থাকায় জার্সিতে পৃষ্ঠপোষকের লোগো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না। সেকারণে তাদের জার্সিতে পরিবর্তন আনতে বলে আইসিসি। পরে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে জার্সিতে পরিবর্তন এনে উগান্ডা পাখির ডানাগুলো হালকা করে ছেটে দিয়েছে। তাদের ট্রাউজারেও দেখা গেছে একই রকম পরিবর্তন। 

এ বিষয়ে ওই সংবাদমাধ্যমকে উগান্ডা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুসালি ডেনিস জানিয়েছেন, ‘জার্সির নকশায় পরিবর্তন আনতে বলেছিল আইসিসি। তবে আমাদের কাছে যথেষ্ট সময় ছিল না প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য। যেমন নকশা করতে বলা হয়েছিল, সেটা আমাদের মেনে চলতেই হতো। আসল নকশা থেকে ২০ শতাংশ হারিয়ে গেছে। বাকিগুলো ঠিকই রয়েছে।’

বিশ্বকাপ শুরুর আড়াই মাস আগেই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপের জার্সি তৈরির জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল উগান্ডা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। দেশটির বেশ কয়েকজন ডিজাইনার তাদের জার্সির ডিজাইন পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে মাঙ্গেনি ইলিয়াসের করা ডিজাইন বেছে নিয়েছে দেশটির বোর্ড। সেখানে ছিল সারস পাখির ছাপ। উগান্ডার জাতীয় পাখি ধূসর রঙের সারস পাখি দেখেই মাঙ্গেনি বিশ্বকাপের জার্সি নকশা করার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে জানা যায়।

আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে প্রথম দল হিসেবে আসন্ন বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছিল নামিবিয়া। এরপর তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে যোগ দেয় উগান্ডা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উগান্ডা ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে। তাদের চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে জিম্বাবুয়ের। রোডেশিয়ানদের ছিটকে বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে উগান্ডা। ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া মেগা আসরটিতে তারা পড়েছে ‘সি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের সঙ্গী আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড।

এএইচএস