ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকাররা ম্যাচ চলাকালে যেমন তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন, তেমনি ক্রিকেটারদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাও চিহ্নিত করেন সেই আলোচনায়। ওই সময় ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনাও চলে আসে। তেমনই একটি ঘটনায় নাকি হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল। ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলির সমালোচনা করায় তাকে নাকি অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনার মুখে পড়তে হয়েছিল।

ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক লাইভ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান ডুল। এই কিউই বিশ্লেষক ভারত–পাকিস্তানের প্রধান দুই তারকা ক্রিকেটার কোহলি ও বাবর আজমের স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনার জন্য বেশ পরিচিত। ২০২৩-২০২৪ পিএসএলে তিনি যেমন বাবরের স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তেমনি ২০২৩ আইপিএলে একইভাবে আঙুল তুলেছিলেন কোহলির দিকেও। সে কারণেই নাকি তাকে ভক্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়।

এ নিয়ে সাইমন ডুল বলেন, ‘সে আউট হলে কী হবে তা নিয়ে চিন্তা করার জন্য সে খুব ভালো ক্রিকেটার। সে খুব ভালো একজন খেলোয়াড় এবং এটি নিয়ে আমি সবসময় বলে থাকি, এটাই আমার পয়েন্ট ছিল। আমি কোহলি সম্পর্কে অনেক প্রশংসা বাক্য বলেছি, তবে আমি একটি কথা বলেছিলাম যেটা কিছুটা নেতিবাচক বা মনে করা হতে পারে সেটা নেগেটিভ, তার পরই আমাকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল।’ তবে ওই ঘটনার পর কোহলির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়নি বলেও জানান এই ক্রিকেট বিশ্লেষক, ‘সমালোচনার পর কোহলির সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হয়নি। আমি টসের সময়ে তার সঙ্গে কথা বলি। এমনকি কথা বলেছি খেলার পরেও।’

ক্রিকবাজের অনুষ্ঠানে বাঁ থেকে সাইমন ডুল ও দীনেশ কার্তিক

কোহলির সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলেছিলেন সদ্য আইপিএল শেষে অবসর নেওয়া দীনেশ কার্তিক। ডুলের মতো সমালোচকদের মন্তব্যে কোহলি নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন মত কার্তিকের, ‘কোহলি এই বছর কেমন ছিলেন তা নিয়ে একটি বই লিখতে চাই। সে ঠিকঠাক শুরু করেছিল। সাইমন (ডুল) এবং আরও কয়েকজনকে ধন্যবাদ যারা সত্যিই তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আর কোহলির সেই দিকটাও আপনারা জানেন, তিনি মানুষকে ভুল প্রমাণ করতে ভালোবাসেন। যদিও বাইরে এসে সেটি বলেন না, এটি সত্যিই তার আবেগকে বাড়িয়ে তোলে। যখন সমালোচনা শোনেন তখন তার মধ্যে থেকে জ্বলন্ত লাভা বেরিয়ে আসে। তারপর তিনি যা করেন সেটা সকলের সামনেই প্রকাশ্য।’

কার্তিক আরও বলেন, ‘সে বারবার এটা করেছে এবং আগামীতেও এটা করবেন। আমি সত্যিকার অর্থেই মনে করি যে কিছু লোক তাকে ভুল প্রমাণ করতে চায়, তবে সে মাঠে এসে তাদেরকেই ভুল প্রমাণ করেন। আপনি বেঙ্গালুরুর সাফল্য এবং এই সবকিছু নিয়ে কথা বলতে পারেন, তবে মনে রাখবেন এই মানুষটাকে ছাড়া এই সব হত না।’

এবারের আইপিএলে কোহলির দলটি প্লে–অফ থেকে বিদায় নিলেও, ফাইনালের মঞ্চে উচ্চারিত হয়েছে তার নাম। কারণ আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক যে তিনি। ১৫ ম্যাচে কোহলি ৬১.৭৫ গড় এবং ১৫৪.৭০ স্ট্রাইকরেটে ৭৪১ রান করেন। এর আগে ২০২৩ আইপিএলেও তিনি ছিলেন ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল। সেবার ১৪ ম্যাচে ৫৩.২৫ গড় এবং ১৩৯.৮২ স্ট্রাইকরেটে ৬৩৯ রান করেছিলেন কোহলি।

এএইচএস