আরো একবার বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে তারুণ্যনির্ভর এই দলকে নিয়ে স্বপ্ন ছিল অনেক বড়। তবে বাস্তবতা একদম ভিন্ন। টপ-অর্ডার এর ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিরিজ হার চিন্তার উদ্রেক ঘটিয়েছে। সেই ব্যর্থতা থেকে নিজেদের শুধরে নিতে দিন দশেকের বেশি সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ। 

৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রথম ম্যাচটি ইতোমধ্যেই পরিত্যক্ত হয়েছে। এখন সবার চোখ ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিগত ৮ আসরেই ছিল বাংলাদেশ। তবে ২০০৭ সালের পর থেকে আর কখনোই গ্রুপপর্বের বাধা টপকাতে পারেনি টাইগাররা। ২০২২ আসরের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূলপর্বে জয় এসেছিল সেই উদ্বোধনী আসরেই। তবে এবার বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত স্বপ্ন দেখছেন বড় কিছুর। 

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ধারাবাহিকভাবে বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশি খেলোয়ারদের সাক্ষাৎকার। আজকের পর্বে ছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে অধিনায়ক শান্ত সবার আগে কথা বললেন বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে, ‘সম্ভাবনা আমি বলতেই চাই না। কারণ আপনিও চান বাংলাদেশ শিরোপা জিতুক। খেলোয়াড়েরাও চায় বাংলাদেশ দল কাপ জিতুক। এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।’ 

অধিনায়ক শান্ত অবশ্য রাতারাতি সাফল্যের চেয়ে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতেই বেশি আগ্রহী, ‘অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রস্তুতিটা ঠিকমতো নিয়েছি কি না, ছোট ছোট কাজগুলো করছি কি না, প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কি না এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, প্রতিটি ম্যাচে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ফল আসবেই। তাই ফল নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। ছোট ছোট জিনিসগুলো যেন আমরা ঠিক করতে পারি, এটা নিয়ে বেশি মনোযোগী।’

দলে সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। তারুণ্যনির্ভর দলের সবচেয়ে সিনিয়র দুজনকে শান্ত দেখছেন বিশেষ প্রাপ্তি হিসেবে, ‘এটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট মনে হয় আমার কাছে। এমন ক্রিকেটার যখন দলে থাকে, বিশেষ করে যাঁরা তরুণ, অনেকেই আছে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন তাঁদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণা দেবে মনে হয়। পাশাপাশি তাঁদের তো অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাও আছে। আশা করি কঠিন সময়ে কোনো সাহায্য দরকার হলে তাঁরা করবেন এবং এখন সেটাই করছেন। বিশ্বকাপে এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমি আশা করি।’

আগের ৮ আসর খেলেছেন, বর্তমানে টি-টোয়েন্টির নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে। তাকে নিয়ে আলাদাভাবে কথা বললেন শান্ত, ‘আলাদাভাবে যদি বলেন, আমি বলব যে সাকিব ভাই তার অভিজ্ঞতা সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তিনি গত বছরগুলোয় যে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে, সেসব তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে তারা অনেক উপকৃত হবে এবং এরই মধ্যে সেটা তিনি করছেন।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থান ডি গ্রুপে। শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর গ্রুপ পর্বে খেলতে হবে আরো তিনটি ম্যাচ। ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের সাথে। গ্রুপের শীর্ষ দুইটি দল পৌঁছে যাবে সুপার এইটে। 

এসএইচ/জেএ