পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড নিজেদের খানিক দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য দুই দল সিরিজ খেলছে যুক্তরাজ্যে। কিন্তু বৃষ্টিবাঁধায় সেই খেলা হচ্ছে কই! সে তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি খানিক ভালো। বিশ্বকাপে অংশ নিতে প্রায় সব দলই এখন জড়ো হয়েছে আটলান্টিক পাড়ের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। কেউ আছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে। 

সপ্তাহ না ঘুরতেই হাজির হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেট বিশ্বের চোখ এখন আটলান্টিক পাড়ের ক্রিকেট উৎসবে। ২০ দলের তিন শতাধিক খেলোয়াড়রা। আছে কোচিং প্যানেলের মেধাবী সব মুখ। গণমাধ্যম, ভক্ত সবাই উন্মুখ বিশ্বকাপের উন্মাদনায়। 

বিশ্বকাপ উন্মাদনার বড় এক অনুষঙ্গ জার্সি। বিশ্বকাপ এলেই নতুন জার্সিতে হাজির হয় দলগুলো। ২০ দলের এবারের আসরে জার্সিতেও আছে নানা রঙ। নিউজিল্যান্ড আর নেদারল্যান্ড ফিরিয়ে এনেছে তাদের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী জার্সি। 

আবার আফগানিস্তানের জার্সিতে রাখা হয়েছে দেশের মানচিত্র। বাংলাদেশ এবং নেপাল ফুটিয়ে তুলেছে নিজেদের দেশের ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গকে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মাঝে কেবল আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের বিশ্বকাপের জার্সি সামনে আনেনি। 

একনজরে বিশ্বকাপের দলগুলোর জার্সি

চিরায়ত নীল রঙের জার্সিতে বিশ্বকাপে যাচ্ছে আফগানিস্তান। জার্সিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আফগানিস্তানের মানচিত্র এবং জাতীয় ঐতিহ্য। বিশ্বকাপের অন্যতম সুন্দর জার্সি বলে বিবেচিত হচ্ছে মোহাম্মদ নবী-রশিদ খানদের জার্সিটি। 

হলুদ নয়। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে যাচ্ছে গাঢ় সবুজ জার্সিতে। অবশ্যই হলুদ আছে। দুপাশে রাখা হয়েছে হলুদ। ২০১৬ সাল থেকেই অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে আছে বিশেষ নকশা। সেটাই ধরে রাখা হয়েছে এবারও। 

লাল-সবুজের বাংলাদেশ। সবুজের মাঝে চিরচেনা বাঘের ডোরাকাটা। লাল অংশটাও সেই বাঘের আদলেই করা। আছে হালকা সোনালি ও হলুদের ছাপ। এই জার্সিতেই বিশ্বকাপ মাতাবেন শান্ত-সাকিবরা। 

পতাকার লাল আর হলুদ ম্যাপল পাতায় করা কানাডার জার্সি। ছিমছাম ধরণের এই জার্সির উন্মোচন করা হয়েছিল বেসবলের মাঠে। 

লালে সজ্জিত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে না আনলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে এই জার্সিতেই খেলছে ইংলিশরা। কাঁধে হালকা নীলের ছোঁয়া রাখা হয়েছে। গেলবারের মতোই লাল জার্সিতে মাঠে নামবেন জশ বাটলাররা। 

ভারতের জার্সিতে ফিরেছে কমলা। নির্বাচনের সময়ে গেরুয়া ধরণের এই রঙের উপস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে অনেকে ভিন্ন চোখে দেখলেও, শেষ পর্যন্ত ভক্তদের মনে ধরে বিরাট কোহলিদের নতুন এই জার্সি। কলারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেশের পতাকা।

ভক্তদের করা ডিজাইন থেকে বেছে নেয়া হয়েছে নামিবিয়ার জার্সি। গাঢ় নীলের ওপর করা হয়েছে এর ডিজাইন। 

নামেই হিমালয়ের কন্যা। বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের অবস্থান সেই নেপালে। দেশটির জার্সিতে তাই এভারেস্টের আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাখা হচ্ছে গন্ডারের ছাপ। 

১৯৯৬ বিশ্বকাপের আদলে করা হয়েছে নেদারল্যান্ডসের জার্সি। বরাবরের মতোই কমলা জার্সি তাদের। তবে রঙিন রেখাগুলো বিশেষভাবে নজরে আসবে। পায়ের কাছেও রাখা হয়েছে বিশেষ ডিজাইন। 

১৯৯৯ সালের জার্সির আদলে এবারের নিউজিল্যান্ডের জার্সি। চিরপরিচিত কালো নয়, বরং নীল রঙে হাজির হচ্ছে কিউইরা। মাঝে সাদা অংশে কালো অক্ষরে লেখা দেশের নাম। 

লাল-সবুজের ওমান। জাতীয় পতাকার আদলে ওমানের এবারের জার্সি। 

পাকিস্তান মানেই সবুজ জার্সি। গেল আসরের রানার্স-আপ দলটির জার্সিতে এবার থাকছে বিশেষ ম্যাট্রিক্স ডিজাইন। সবুজের কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন শেডে জ্যামিতিক সেসব প্যাটার্ন আঁকা। 

সংগ্রাহকদের কাছে পাপুয়া নিউগিনির জার্সির আলাদা কদর। এবারেও তারা নিরাশ করেছি। লাল-কালোর মিশেলে এবারও দারুণ এক জার্সি উপহার দিয়েছে তারা। 

গাঢ় নীল, বেগুনি আর নেভি রঙ থেকে সরে এবার স্কটল্যান্ড নিজেদের জার্সিতে এনেছে গোলাপি রঙের আবহ। একাধিক প্যাটার্ন এবং শেডে করা হয়েছে স্কটিশ জার্সি। 

হলুদে করা দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি। কাঁধে আছে দেশের পতাকা। হাতে সবুজ রঙ। বিশ্বকাপের অন্যতম সুন্দর জার্সি হতে যাচ্ছে এটি।   

হালকা নীলে লংকান সিংহ। অনেকটা ক্রিকেট বোর্ডের লোগোতে থাকা সিংহকে যেন ফিরিয়ে আনতে চায় লংকরা। হাত ও ট্রাউজারে রাখা হয়েছে গাঢ় নীল রঙ। 

প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে আসা উগান্ডা রেখেছে হলুদ জার্সি। দুই পাশে হালকা নকশা। 

গাঢ় নীলে করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি। জাতীয় পতাকার মতোই পুরো জার্সিতে তারকার নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কানাডার মতো এই জার্সিও উন্মোচনা করা হয়েছিল বেসবলের মাঠে। 

জেএ