অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট
৯ জন নিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ!
১১ জনের খেলা ক্রিকেট। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া দলের অবস্থা এমন প্রস্তুতি ম্যাচে দলে আছেন মোটে ৯ জন খেলোয়াড়। নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে খেলোয়াড় ঘাটতি মেটাতে দলের কোচিং স্টাফদেরই খেলতে হতে পারে এমনই এক খবর প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দলের বিপদ আরও বেড়েছে, কারণ অধিনায়ক মিচেল মার্শ এখনো বোলিং করার মতো পুরো সুস্থ হয়ে ওঠেননি। সেক্ষেত্রে হয়ত স্কোয়াডে থাকবেন ৮ জন।
অস্ট্রেলিয়ার এমন বিপত্তির কারণ মূলত আইপিএল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগের পর্দা নেমেছে গতকাল রোববার। যেখানে ফাইনালে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের তিন খেলোয়াড়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে ছিলেন প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেড। আর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। আর তাদের প্রত্যেকেই স্বল্প সময়ের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়াতে পরিবারের কাছে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
বিজ্ঞাপন
হেড, কামিন্স এবং স্টার্ক ছাড়াও এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়াতে ছুটি কাটাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএল খেলা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিন। তারা দুজনেই ছিলেন প্লে-অফ পর্যন্ত। আরেক অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস খেলেছিলেন লখনৌর হয়ে। তিনিও এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়াতেই আছেন।
ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে দলে আছেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক আর ম্যাট শর্ট। তারা দুজন দলের সঙ্গে যোগ দেবেন মূলত বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের আগে। স্টয়নিস ত্রিনিদাদে যাবেন নামিবিয়া ম্যাচের পর। আর বাকি পাঁচজন আসবেন বিশ্বকাপের ঠিক আগে। দলের সহকারী কোচ এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হেড কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরিও তাদের সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়া ক্যাম্পে যোগ দেবেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শের বক্তব্য, ‘আমাদের খেলোয়াড় সংকট থাকবে। কিন্তু এটা প্রস্তুতি ম্যাচ। আমাদের নমনীয় হওয়া জরুরি। যারা আইপিএলে ছিল তারা অনেক ক্রিকেট খেলেছে এর মাঝে। আমরা তাদের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করা, চাঙ্গা হওয়া আর বিশ্বকাপের লম্বা সূচির জন্য তৈরি হওয়ার ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দলের এমন ঘাটতি মেটাতে দেখা যেতে পারে কোচিং স্টাফদের। দলের সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে থাকা অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড, ব্র্যাড হজ বা জর্জ বেইলিকে তাই আবারও মাঠে দেখা যেতে পারে। তাদের প্রত্যেকেই অস্ট্রেলিয়া দলের সাবেক ক্রিকেটার। এছাড়া দলে থাকা আন্দ্রে বোরোভেচ প্রথম শ্রেণির উইকেটরক্ষক।
আইসিসির নিয়মঅনুযায়ী, প্রস্তুতি ম্যাচের স্কোয়াডে এমন খেলোয়াড়দের মাঠে নামতে হবে যারা জন্মসূত্রে ওই দেশের নাগরিক। এক্ষেত্রে ১৫ জনকেই খেলানো যেতে পারে। যেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়, তাই এক্ষেত্রে সাপোর্ট স্টাফদের কাউকে মাঠে নামানো হলেও আইসিসির নিয়মভঙ্গ হবে না।
জেএ