মুস্তাফিজের ৬ উইকেট, বাংলাদেশের সামনে মামুলি টার্গেট
শেষটা সুন্দর করার প্রত্যয় ছিল। সেটাই যেন হলো বাংলাদেশের জন্য। আগের দুই ম্যাচে লজ্জাজনক হারের পর আজ বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কিছুটা হলেও মেলে ধরেছে নিজেদের। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মান বাঁচানোর মিশনে তাই কিছুটা অন্তত স্বস্তি মিলেছে টাইগার ড্রেসিংরুমে। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ১০৪ রান।
মুস্তাফিজুর রহমানের পাওয়ারপ্লের শেষ ওভার থেকেই মূলত বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। ৬ষ্ঠ ওভারে এসে শায়ান জাহাঙ্গীরের উইকেট পেয়েছিলেন ফিজ। সেইসঙ্গে ছিল মেইডেন। মূল একাদশের চারজনকে ছাড়া খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্র খাবি খেয়েছিল সেই ওভার থেকেই। রানের গতি এরপর কমেছে স্বাগতিকদের। বাংলাদেশও সুযোগ বুঝে চেপে ধরে তাদের।
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার হওয়া নিয়েই শঙ্কা ছিল। তবে তানজিম সাকিবের ১৭তম ওভারে এসেছে ১৩ রান। সেটাই শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর নিয়ে যায় ১০৪ পর্যন্ত।
মান বাঁচানোর ম্যাচে এসে যেন বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আরও বিবর্ণ। একাধিক পরিবর্তন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই পরিবর্তন কাজে আসেনি মোটেই। বরং পাওয়ারপ্লেতে আরও একবার অসহায় অবস্থায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
নতুন বলে তানজিম হাসান সাকিব এবং সাকিব আল হাসানের হতশ্রী বোলিংয়ে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল যুক্তরাষ্ট্র। মূল ওপেনার দুজনের পরিবর্তে আজ শুরুটা করেছেন শায়ান জাহাঙ্গীর ও আন্দ্রিজ গোজ। দুজনে শুরুটা করেছেন দারুণ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হাসান মাহমুদকে দুই চার মেরে শুরু করেন শায়ান। পরের ওভারে সাকিবের বলে ছক্কা হাঁকান গোজ।
পরের ওভারে তানজিম সাকিবকে ৪ বার চার হাকান আন্দ্রিজ গোজ। সাকিব আল হাসানের পরের ওভারে ১ চার এবং ১ ছক্কা এলেও উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ১৫ বলে ২৭ করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন গোজ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারটাই ছিল বাংলাদেশের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। মুস্তাফিজুর রহমান নিজের প্রথম ওভারে কোন রান না দিয়ে তুলে নেন শায়ান জাহাঙ্গীরের উইকেট।
পরের দুই ওভারে সাবধানী মিলিন্দ কুমার এবং নিতিশ কুমার সময় নিয়েছেন থিতু হতে। কিন্তু এদিন বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন অনেকটাই সাবধানী আর ক্ষুরধার। নবম ওভারে রিশাদের মেইডেন। পরের ৪ ওভারে এসেছে ৮ রান। যুক্তরাষ্ট্র তাতে উইকেট হারায় ৩টি। দশম ওভারে মুস্তাফিজ পান নিজের ৩য় উইকেট। এরপর তানজিম সাকিবের হাত থেকে আসে আরেকটি উইকেট মেইডেনের ওভার।
কোরি অ্যান্ডারসনের ১৮ বলে ১৮ আর শ্যাডলি ভ্যান শ্যালউইকের ১৭ বলে ১২ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ রান পেরুনোর পুঁজি। তাদের দুজনকেই ফেরান ফিজ। তানজিম পেয়েছিলেন অধিনায়ক অ্যারন জোনসের উইকেট। ক্যাচ নিয়েছিলেন রিশাদ। শেষ ওভারে জাসদ্বীপ সিং এবং নিসর্গ প্যাটেলের উইকেট নিয়ে ৬ উইকেট পূরণ করেন মুস্তাফিজ।
জেএ