ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের সঙ্গে সিরিজ ড্র এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হার নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল পাকিস্তান জাতীয় দল। এমনকি টি-টোয়েন্টিতে তাদের আগ্রাসী খেলার মানসিকতা আছে কি না– সেই প্রশ্নও উঠেছিল। তবে তাদের সেই মানসিকতা নাকি বদলে গেছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা দুইশ’র বেশি দলীয় সংগ্রহের জন্য খেলবে বলে জানিয়েছেন তারকা ব্যাটার ফখর জামান।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে দেশটিতে অবস্থান করছে বাবর আজমের দল। ইতোমধ্যে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। আজ (শনিবার) বার্মিংহামে দু’দল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে। তার আগে শুক্রবার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের খেলার ধরন ও পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন ফখর। সেখানেই তিনি দলটির মানসিকতা বদলে ফেলার কথা জানান, এমন পরিকল্পনা সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটকে বদলে দেওয়া ইংলিশদের বিপক্ষেও এই সিরিজে বাস্তবায়ন করতে চান।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পরই মানসিকতা বদলে গেছে উল্লেখ করে ফখর বলেন, ‘সেই ম্যাচে (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে) হেরে যাওয়ার পর মানসিকতা পাল্টেছে, বদলে গেছে শরীরী ভাষাও। কেউ হারতে পছন্দ করে না। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর আমরা যে মানসিকতা ধারণ করেছি, সেটি ধরে রাখতে পারলে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দলকে দেখবেন। প্রতিটি ম্যাচের পরই আমরা বৈঠক করি। আর এখন আমাদের যে মানসিকতা, সেটি হলো, আগে ব্যাটিংয়ে নামলে দুইশ থেকে দুইশ’র বেশি রান করা। আমি এই মানসিকতার কথাই বলছি, যেটা নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি...আমাদের ব্যাটিং নিয়ে তো অনেক কথাই হয়; যদিও বোলিং বিশ্বমানের।’

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে তেমন রান পাচ্ছেন না এই মারকুটে ব্যাটার। তবে নিজের স্বভাবজাত ধারায় বিশ্বকাপে খেলার প্রত্যয় ফখরের কণ্ঠে, ‘বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এসেছে। এই মুহূর্তে তাই আমি (ব্যাটিং নিয়ে) কারও কথাই শুনব না। টুর্নামেন্ট খুব কাছাকাছি থাকতে কোনো কিছু পাল্টানো সহজ নয়। তাই আমি যেভাবে খেলি, সেভাবেই খেলে যাব এবং পরে (বিশ্বকাপের পর) তার (প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেন) সঙ্গে কাজ করব।’

এদিকে, ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই কোচকে কিছুদিন আগেই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান। যদিও তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ড সফরে। ফলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য দলকে তেমন সময় দিতে পারেননি কার্স্টেন। এ নিয়ে ফখর জানান, ‘খুব বেশি কোচ পাল্টানো হচ্ছে। যদিও গ্যারি দারুণ মানুষ। তিনি নতুন এলেও তাকে তেমন (অপ্রস্তুত) লাগছে না। কারণ, আসার দিন থেকেই তিনি নিজেকে দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তিনি সবার সঙ্গেই কথা বলতে ভালোবাসেন। আমাদের গল্পগুলো শুনতে চান। আমরা কীভাবে ক্রিকেট খেলি এবং আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চান। তার সঙ্গে কাজ করতে আমরা মুখিয়ে আছি।’

চলতি বছর ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে আগে ব্যাট করে একবারও দুইশ রান তুলতে পারেনি পাকিস্তান। তাদের সর্বোচ্চ পুঁজি ছিল ১৮২ রান। এমন অবস্থায় টপ অর্ডার, বিশেষত অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিং নিয়ে বেশ সমালোচনাও হয়েছে। তবে ফখরের মতে— বিশ্বকাপে এমন অবস্থার বিপরীত নতুন পাকিস্তানকে দেখা যাবে। আগামী ২ জুন থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে ৭ জুন লড়বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। এরপর ৯ জুন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে ম্যাচ বাবরদের।

এএইচএস