আইপিএলের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। যেখানে রাজস্থানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিজেদের স্বাভাবিক আগ্রাসী রূপ দেখাতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দল। তবে তাদের শুরুর বিপর্যয় ছাপিয়ে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য এনে দিয়েছেন হেইনরিখ ক্লাসেন। তার ফিফটিতে নির্ধারিত ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৭৫ রান।

চলতি আইপিএলে ফাইনালের ভেন্যু চেন্নাইয়ের চিপকে খেলছে হায়দরাবাদ–রাজস্থান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি হায়দরাবাদের দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার অভিষেক শর্মা। যদিও প্রতি ম্যাচের ন্যায় এদিনও তিনি তাণ্ডব চালানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। অন্যদিকে, নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নিতে সিদ্ধহস্ত ট্রেন্ট বোল্ট। তাকে ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট অভিষেক। ৫ বলে একটি করে চার–ছয়ে বাঁ–হাতি ওপেনার করেন ১২ রান।

এরপরও অবশ্য রানের গতি কমেনি হায়দারাবাদের। যদিও চলতি আসরে তিনবার আড়াইশ পেরোনো দলের সঙ্গে এমন চিত্র মিলছিল না। দ্বিতীয় উইকেটে রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন ট্রাভিস হেড। তবে এর ভেতর পুরো রানই তুলেছেন রাহুল। তিনি ১৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। বোল্টের বলে তার বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। এরপর পুরো টুর্নামেন্টে ফ্লপ অ্যাইডেন মার্করামও ফেরেন মাত্র ১ রান করে। ফলে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে হেড–ক্লাসেন মিলে ৪২ রান তুলে সেই বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালান। তবে হেডের কিছুটা ধীরগতির ইনিংস শেষ হয় ৩৪ রানে। ২৮ বলের ইনিংসটা তার সঙ্গে বেমানানই বটে। এই অজি ওপেনারের বিদায়ের পর ইনিংসের শেষ পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে হায়দরাবাদ। ফলে যোগ্য সঙ্গ না পেয়েই একাই লড়াই চালিয়ে যান ক্লাসেন। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার প্রায় শেষ পর্যন্ত থেকে ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেন। তার বিদায়ে হায়দরাবাদের আরও বড় পুঁজির আশা শেষ হয়ে যায়। ৩৪ বলে ৪ ছক্কায় ৫০ রান করেন ক্লাসেন।

শেষদিকে শাহবাজ আহমেদের ওয়ানডে মেজাজের ১৮ রান ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরও ছুঁতে পারেননি। ফলে ১৭৫ রানেই থামে হায়দরাবাদ। অন্যদিকে, রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্ট ও আভেশ খান। সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সন্দ্বীপ শর্মা ২ উইকেট শিকার করেছেন।

এএইচএস