বেঙ্গালুরুর হারের পরেই অবসরে ভারতীয় তারকা
দীনেশ কার্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে নেই বেশ অনেকটা সময় ধরেই। পুরোদমে ব্যস্ত ধারাভাষ্যকার হিসেবে। কিন্তু আইপিএলে ঠিকই ব্যাট আর গ্লাভস হাতে নেমেছেন। নিজের চিরায়ত আক্রমণাত্মক ধাঁচের ব্যাটিংও উপহার দিয়েছেন। তবে ইঙ্গিত ছিল পরিস্কার। আইপিএলের এবারের আসরের পর ক্রিকেটকে পুরোদমে বিদায় জানাবেন কার্তিক। গতকাল বুধবার হয়ে গেল সেটাও।
রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের দিনে নিশ্চিত হয়েছে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার শেষ করছেন দীনেশ কার্তিক। এলিমিনেটরে হেরে আরও একটা মৌসুম হতাশায় শেষ করেছে আরসিবি। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। অবশ্য ঘোষণাটা কার্তিক নিজে দেননি। স্টার স্পোর্টসের ব্রডকাস্টাররা নিশ্চিত করেছে এটিই ছিল পেশাদার ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচ।
বিজ্ঞাপন
চার উইকেটে ম্যাচ হারের পর কার্তিককে জড়িয়ে ধরে বিদায় নেন বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে পুরো দলের পক্ষ থেকে। সেখানে বেশ আবেগী দেখা গিয়েছে তাকে। তাছাড়া তিনি নিজেও সমর্থকদের কাছ থেকে যেভাবে বিদায় নিয়েছেন, তাতে অবসরের জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণার দরকার হয় না।
নিজের শেষ ম্যাচটা অবশ্য খুব একটা বলার মতো কিছু করতে পারেননি কার্তিক। বুধবারের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে এলিমিনেটরে ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফিল্ডিং করতে নেমে যশস্বী জায়সাওয়ালের ক্যাচ ধরার পাশাপাশি সাঞ্জু স্যামসনকে স্টাম্পিং করেছেন।
আরও পড়ুন
অবশ্য পুরো আসরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় বেশ ভালো সময় পার করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ১৩ ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৩২৬ রান সংগ্রহ করেন। দুটি হাফ-সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাটে। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৮৩ রানের। ১৮৭.৩৫ স্ট্রাইক-রেটে রান করেছেন। ২৭টি চারের সঙ্গে মারেন ২২টি ছক্কা।
সবমিলিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ারে ১৭ বছরে ২৫৭ ম্যাচ খেলেছেন কার্তিক। ২২টি হাফ সেঞ্চুরিতে চার হাজার ৮৪২ রান এসেছে তার ব্যাটে। ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমান দিল্লি ক্যাপিটালস) হয়ে আইপিএলে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর গিয়েছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস)। তারপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট লায়ন্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং শেষে বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএল খেলেন তিনি।
জেএ