ঘরের মাঠে সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া তানজিদ হাসান তামিম দুই ফিফটিতে নিজের সামর্থ্য নতুন করে জানান দিয়েছিলেন। তবে বিশ্বকাপের আগে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের দুর্ভাবনার কারণ অভিজ্ঞ লিটন দাস। সে কারণে ফর্মে থাকা তানজিদের পরিবর্তে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির একাদশে নেওয়া হয়েছে। যদিও ২ রানে জীবন পাওয়া লিটন ফিরলেন মাত্র ১৪ রানে। এরপর দলীয় ৩৪ রানে আউট আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও।

টেক্সাসের হিউস্টন প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ। যেখানে টস হেরে সফরকারীরা আগে ব্যাট করছে। কিন্তু তুলনামূলক দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের সামনেও যেন অসহায় টাইগাররা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৭ রান তুলতেই তারা দুই উইকেট হারিয়েছে।

ফর্মে ফেরার চাপে থাকায় লিটন এদিন শুরুটা দেখেশুনেই করেন। তবে নিজের পঞ্চম বলেই তিনি এডজ হয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে থাকা স্বাগতিক অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের হাতে। সহজ সেই ক্যাচও অবিশ্বাস্যভাবে ফসকে গেছে। নতুন জীবন পেয়ে টাইগার ওপেনার পরের ওভারে ছয় হাঁকিয়েই ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সেই আলো অন্ধকারে মিলিয়ে যেতে থাকে তার একের পর এক নড়বড়ে শটে।

শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ১৪ রান করার পর লিটন ক্রস ব্যাট চালান জেসি সিংয়ের বলে। সেটি আঘাত করে লিটনের পায়ে, আম্পায়ার এলবিডব্লু আউট দেওয়ার পর সোজা হাঁটা দিয়েছেন টাইগার ওপেনার, সেখানে যে রিভিউ’র কোনো সুযোগ নেই। অবশ্য তাতে হয়তো লাভও হতো না, খালি চোখে যতটুকু আঁচ করা যায় মিডল ও অফ-স্টাম্প বরাবর ভেতরের পায়ে আঘাত করেছে বলটি।

ওই ওভারটিতে শান্ত আসার পর তিন বলই ডট দিয়েছেন, অর্থাৎ মেইডেনসহ এক উইকেট নিয়েছেন জেসি। অন্যপ্রান্তে থাকা সৌম্য খেলছিলেন ঠিকঠাক। লিটনের সহজাত সঙ্গ না পেলেও, নিজের মতো করে বাউন্ডারি খেলে তিনি রানের চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু লিটনের বিদায়ে ছন্দপতন হলো তারও। ডানহাতি অফস্পিনার স্টিভেন টেলরের গুড লেংথে ফেলা বলে উড়িয়ে মারেন সৌম্য। কিন্তু তাতে বেশি জোর ছিল না, ফলে তালুবন্দী হন বাউন্ডারিতে। বিদায়ের আগে এই বাঁহাতি ওপেনার করলেন ১৩ বলে ২০ রান।

এএইচএস