ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ খেলতে দেশটিতে অবস্থান করছে পাকিস্তান ছেলে-মেয়ে উভয় দলই। যদিও বাবর আজমদের সিরিজ শুরু হবে ২১ মে থেকে। এর আগে নিদা দারের নেতৃত্বাধীন পাক মেয়েরা ইংলিশদের মুখোমুখি হয়েছে। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নেমেই রেকর্ড গড়েছেন নিদা। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে তিনিই এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার।

এর আগে এতদিন পর্যন্ত রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেগান শুটের দখলে। তার নেওয়া সর্বোচ্চ ১৩৬ উইকেটের রেকর্ড গতকাল (শুক্রবার) টপকে গেছেন নিদা। তবে পাকিস্তানের হয়ে সেরা দশ উইকেটশিকারির তালিকায় তিনিই একমাত্র। 

ম্যাচটিতে খেলতে নামার আগে পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার অধিনায়কের উইকেট ছিল টি-টোয়েন্টিতে ১৩৫টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজেই তিনি অজি পেসারের মাইলফলক ছোঁয়ার কাছাকাছি পৌঁছান। শেষ পর্যন্ত সেই মাইফলক পেরিয়ে গেলেন ইংলিশ মেয়েদের বিপক্ষে খেলতে নেমে। যদিও বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিদা কোনো উইকেট পাননি। ম্যাচটিও সফরকারী পাকিস্তান হেরে যায় ৫৩ রানে।

দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে মাইয়া বুচিয়া, অ্যালিস ক্যাপসি ও ন্যাট শাইভার-ব্রান্টের কল্যাণে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বিপরীতে নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তানের বোলাররা উইকেট নিয়েছেন। ১২তম ওভারে ক্যাপসিকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম শিকার ধরেন পাক অধিনায়ক নিদা। এরপর অ্যামি জোনসকেও ফেরান শেষ ওভারে। ৪ ওভারে হাত ঘুরিয়ে এই অফস্পিনার ৩০ রান খরচায় ২ উইকেট নেন। আর তাতেই সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি উইকেটের রেকর্ডটি নিজের নামে করে ফেলেন।

রানতাড়ায় নেমে পাকিস্তান মাত্র ৭৯ রানেই গুটিয়ে যায়। সফরকারীদের হয়ে আলিয়া রিয়াজ সর্বোচ্চ ১৯ এবং মুনিবা আলী ১৮ রান করেন। এ ছাড়া বলার মতো আর কেউ অবদান রাখতে না পারায় ৬৫ রানের ব্যবধানে বড় হার নিশ্চিত হয় নিদা দারের দলটির। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সোফি একলিস্টন। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২–০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো ইংলিশ মেয়েরা। দু’দল আগামী ১৯ মে শেষ টি-টোয়েন্টি এবং ২৩–২৯ মে’র মাঝে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।

মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট

নিদা দার (পাকিস্তান) — ১৩৭ (১৪৮ ম্যাচ)
মেগান শুট (অস্ট্রেলিয়া) — ১৩৬ (১১০ ম্যাচ)
অ্যালিসে পেরি (অস্ট্রেলিয়া) — ১২৬ (১৫৪ ম্যাচ)
আনিসা মোহাম্মেদ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) — ১২৫ (১১৭ ম্যাচ)
শবনিম ইসমাইল (দক্ষিণ আফ্রিকা) — ১২৩ (১১৩ ম্যাচ)

এএইচএস