টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। দেশ ছাড়ার আগে বিসিবির ডিজিটাল প্লাটফর্মকে দলের সকল ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেখানে আলাদা করে তিনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। তাদের কাছে আইসিসির এই মেগা আসরে হাথুরুর চাওয়াও অনেক।

সাকিবকে নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘সে এই খেলাটির একজন কিংবদন্তি। আমরা জানি সাকিব সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই খেলেছে। এটা তার জন্য খুব বড় একটি টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। আমি আশা করব তিন বিভাগেই সে অবদান রাখবে। সে অসাধারণ একজন নেতাও। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সে দারুণভাবে মিশে যায়। সবাই তাকে শ্রদ্ধাও করে। ম্যাচের পরিস্থিতি খুব ভালো বুঝতে পারে সে।’

মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ সম্ভবত এই দলটির ‘‘স্পিরিট’’। সে ড্রেসিংরুমে অসাধারণ এক প্রশান্তি বয়ে এনেছে। যখন সে কথা বলে বাকিরা শোনে। আমি মনে করি তার মাথাও (ক্রিকেটীয়) খুব ভালো। সম্প্রতি তার ব্যাটিং অন্য পর্যায়ে চলে গেছে। সে খুবই নির্ভীক ব্যাটিং করছে...যা দলের জন্য খুবই ভালো। বিশ্বকাপে সে চাপের মুহূর্তগুলো সামলে নেবে এবং তরুণদের পথ দেখাবে।’

এদিকে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেশ ছাড়ার আগে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বলছিলেন, ‘রিয়াদ ভাই যেভাবে ফিরে এলেন এবং সবচেয়ে বড় কথা উনি এখন যেভাবে খেলছেন, সেটি তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার। উনার যে দায়িত্ব আছে, তা পালনের মধ্য দিয়ে দল অনেক দূরে এগিয়ে যাচ্ছে। কখনও ৫–৬ নম্বরে ব্যাটিং করছেন, আবার ফিনিশিংয়েরও দায়িত্ব পালন করছেন, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বাড়তি একটা সুযোগ যে আমরা ভালো স্কোর দাঁড় করাতে পারব। তরুণদের জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণার জায়গা এটি, যে কীভাবে এরকম একটা পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসা যায়।’

এদিকে, টাইগারদের হেডকোচ একে একে তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘শান্ত আমাদের নেতা। খুবই ভালো একজন নেতা। তার নেতৃত্বগুণেই আমরা খেলব। ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দফূর্তি করলেও, যখন মাঠে নামে খুবই লড়াকু মানসিকতা দেখায়। বিশ্বকাপে প্রথমবার নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী পাওয়ায় তার কাঁধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। আমি নিশ্চিত সে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’

এবারের আসরে তাসকিন আহমেদকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ। এই গতিতারকা সবার কাছে জনপ্রিয় বলে জানান হাথুরু, ‘তাসকিন খুবই আবেগপ্রবণ মানুষ। সে যেদিন মনের দিক থেকে ভালো থাকে আমরা তার কাছ থেকে সেরাটা পাই। খেলোয়াড় এবং কোচদের কাছেও খুবই জনপ্রিয় সে। সব সময় চেষ্টা করে দলকে সেরাটা দিতে এবং নিজের উন্নতি করতে। পাশাপাশি সে দুর্দান্ত একজন মানুষও।’ 

সাম্প্রতিক সময়ে রানখরায় ভুগছেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। তবে বিশ্বকাপে তিনি তার স্বমহিমায় ফিরবেন বলে আশা টাইগার কোচের, ‘লিটন আমদের শীর্ষ ব্যাটারদের একজন। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাট থেকে বড় কিছু প্রত্যাশা করছি। ঈশ্বর প্রদত্ত একজন মেধাবী ব্যাটার। যেকোনো পজিশনে সে আমাদের অন্যতম একজন ফিল্ডার। যদিও মাঠের বাইরে কিছুটা শান্ত, তবে খেলাটা ভালো বুঝতে পারে। আর কৌশলগত দিক থেকেও দলকে সমর্থন দেয়।’

এসএইচ/এএইচএস